রবিবার ভারতীয় রেল মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, ১৫ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। সেই মতো বুকিং শুরু হয় সোমবার। ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৯.১৫ নাগাদ প্রায় ৩০ হাজার পিএনআর নম্বর ইস্যু করা হয়েছে, রিজার্ভেশন পেয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ।’
এতদিন বাদে সচল হবে স্টেশনগুলিও। দীর্ঘসময়, মানে সেই ২২ মার্চের পর এই প্রথম সচল হতে দেখা যাবে হাওড়া স্টেশনকে। মঙ্গলবার ভেলোর থেকে একটি ট্রেন এসে পৌঁছবে হাওড়া স্টেশনে, তেমনই হাওড়া থেকে একটি ট্রেন আজ রওনা দেবে দিল্লি। ভেলোরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়া অংসখ্য মানু্ষকে নিয়ে আসছে ট্রেনটি। তেমনই মঙ্গলবার হাওড়া থেকে দিল্লিতে এ রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের নিয়ে যাবে বিশেষ ট্রেন। যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে রেলও। বলা হয়েছে, কেবলমাত্র উপসর্গহীন, সুস্থ মানুষেরাই এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন। সংবাদসংস্থা দাবি করেছে, হাওড়াতে থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও। সব মিলিয়ে পরিপাটি ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে কোনওভাবে সংক্রমণ আর না ছড়ায়, আর মানুষও যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়ে সাধারণ মানুষকে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই এখন একমাত্র কাজ। আর সেটাই মঙ্গলবার থেকে সরকার পালন করতে চাইছে পূর্ণমাত্রায়।
advertisement