কর্মীদেরকে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য বিধি-র সমস্ত প্রটোকল মেনে চলতে। করোনা সচেতনতায় এবার বন্দর প্রস্তুত করে ফেলেছে তাদের নিজস্ব আইসোলেশন ওয়ার্ড। বন্দর হাসপাতালে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফদের। মাঝেরহাটে কলকাতা বন্দরের রয়েছে নিজস্ব হাসপাতাল। সেই হাসপাতালের তিন তলায় প্রস্তত করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। আট শয্যার এই আইসোলেশন ওয়ার্ড জুড়ে থাকছে, সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ, সাকশন, নেবুলাইজার সহ বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থা।বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসকরা বারবার এই পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে চলছেন।
advertisement
যে সমস্ত চিকিৎসকরা সমুদ্রে গিয়ে ক্রু'দের পরীক্ষা করছেন তাদেরকেও নানা রকম পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। অন্যদিকে রিমাউন্ট রোডে কলকাতা বন্দরের তরফে তৈরি করা হয়েছে একটি কোয়ারেনটাইন। রিমাউন্ট রোডে কলকাতা বন্দরের একটি অফিসে ১২ শয্যা তৈরি করে রাখা হয়েছে। আলাদা শৌচালয়, আলাদা রান্নাঘর সমস্ত কিছু তৈরি করে রাখা হয়েছে। বন্দর সূত্রে খবর, তারাতলায় এরকম একটি ফ্ল্যাট দেখা হয়েছে, যেখানে এই ধরনের অপর একটি কোয়ারেন্টাইন তৈরি করা হচ্ছে।
কলকাতা বন্দর হাসপাতালে ইতিমধ্যেই বন্দরের কর্মীদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি গত এক বছর ধরে মান উন্নয়ন করা হয়েছে হাসপাতালের। বাড়ানো হয়েছে সিসিইউ বেডের সংখ্যা। তেমনি চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। যেহেতু দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাহাজ আসে ফলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে খিদিরপুর ডক, নেতাজী সুভাষ ডক ও হলদিয়া বন্দরের প্রতিটি কোণ প্রতি মুহূর্তে স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে। খেয়াল রাখা হচ্ছে কর্মীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকেও।