বর্ধমান স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন পঞ্চাশটিরও বেশি দূর পাল্লার ট্রেন যাতায়াত করে। এছাড়াও প্রচুর লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। তাদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বর্ধমান রেল স্টেশনের মূল প্রবেশ পথের সামনে করোনা মোকাবিলায় বিশেষ শিবির খোলা হয়। জেলা শাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা, রেলের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেই শিবির থেকে যাত্রীদের করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কী করনীয় সে ব্যাপারে সচেতন করা হয়। যাত্রীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
advertisement
জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার যাত্রী আসছেন। আমরা চাই না তাদের মাধ্যমে একজনও করোনায় আক্রান্ত হোক। করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতেই থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু হল। এজন্য চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা থাকবেন। আগামী সাতদিন ধারাবাহিক ভাগে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। সন্দেহ হলে সেসব যাত্রীদের প্রয়োজনে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। বর্ধমান মেডিকেলের পাশাপাশি কালনা ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালেও আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। রোগীদের আলাদা জায়গায় রাখারও পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে। বর্ধমান স্টেশনে অনেক যাত্রী নিজেদের উদ্যোগেই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন। বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউন্ড-সহ জনবহুল এলাকাগুলিতেও এই পরীক্ষা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
Saradindu Ghosh