সম্প্রতি দার্জিলিং গিয়েছিলেন আবদুল মান্নান। এই সপ্তাহেই পাহাড় থেকে কলকাতায় ফিরেছেন চাঁপদানির কংগ্রেস বিধায়ক। ছিলেন কলকাতার এমএলএ হস্টেলে। সেখানেই তারপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিলে অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার সঙ্গে কোভিড টেস্টও করা হয় তাঁর। মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। ৬৮ বছরের বিধায়ককে এরপরই বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে আবদুল মান্নানের ৷ কো-মর্বিডিটি থাকায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। যদিও, চিকিত্সকেরা জানিয়েছে, আবদুল মান্নানের শারীরিক অবস্থা এখনও পর্যন্ত স্থিতিশীলই রয়েছে।
advertisement
আজ, বুধবার সকালেই মৃত্যুসংবাদ পাওয়া যায় কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যুর খবরটি দেন তাঁর ছেলে ফয়জল প্যাটেল। গত পয়লা অক্টোবর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ভর্তি করা হয় গুরুগ্রামের হাসপাতালে। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুধবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতালে প্রয়াত হন আহমেদ প্যাটেল।
আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। তিনি জানান, ‘‘আহমেদ প্যাটেলের প্রয়াণে এমন একজন সহকর্মীকে হারালাম, যিনি নিজের গোটা জীবনকে কংগ্রেসের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। একজন নির্ভরযোগ্য বন্ধুকে হারালাম। তাঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই।’’ আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুতে ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিও। তিনি লিখেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের দিন। কংগ্রেসের স্তম্ভ ছিলেন আহমেদ প্যাটেল। কংগ্রেসের জন্যই বাঁচতেন তিনি। বিপদের সময়ে সবসময় দলের পাশে থেকেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ছিলেন। ওঁর অনুপস্থিতি অনুভব করব। ফয়জল, মুমতাজ এবং পরিবারকে আমার সমবেদনা।’’
শোকপ্রকাশে করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেন, ‘‘আহমেদ প্যাটেলের প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত। শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। ওঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই।’’