#কলকাতা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লন্ডনে। তার জেরে কলকাতারই বাঙালি গবেষক পড়ুয়া ফিরতে চাইলেও এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কোনও ইতিবাচক সংকেত পাননি। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন কলকাতার বাঙালি গবেষক পড়ুয়া দেবাঞ্জন মন্ডল। বর্তমানে দেবাঞ্জন ইউনাইটেড কিংডম-এর হুডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন। দেবাঞ্জন হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা। করোনাভাইরাস এতটাই থাবা বসিয়েছে যে, বর্তমানে ইউনাইটেড কিংডম লকডাউন-এ চলছে। তবে শুধু দেবাঞ্জন নয় ভারতের প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া আটকে রয়েছেন ইউকেতে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাসকে ফেরার আর্জি জানিয়ে বারবার ইমেইল করেছেন দেবাঞ্জনের মত আটকে পড়া ভারতীয় গবেষক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি চিন, ইরান, ইতালির মতো ভারত সরকার ইউনাইটেড কিংডম থেকেও যাতে একই ভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
advertisement
লন্ডন থেকে ওই বাঙালি গবেষক পড়ুয়া দেবাঞ্জন মন্ডল জানাচ্ছেন, "বর্তমানে ইউনাইটেড কিংডম পুরোপুরিভাবে লকডাউন চলছে। সবাই এখানে বাড়িতে আইসোলেশনে আছে। করোনা ভাইরাস কার্যত কমিউনিটি স্প্রেডিং হতে শুরু করেছে। প্রত্যেক দিন গড়ে ১০০ জন করে মারা যাচ্ছে এই দেশে। অবস্থা এমনই যে এখানে লকডাউন এর সময়সীমা ৬ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে টাকা পয়সা ফুরিয়ে আসছে। এইভাবে লকডাউন চললে আমরা না খেতে পেয়ে মরে যাব"।
ইতিমধ্যেই এই খবরে চিন্তার ভাঁজ ডোমজুড়ের শ্রীমনি পাড়ার মন্ডল বাড়িতে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেবাঞ্জন মন্ডলের বাবা মনোরঞ্জন মন্ডল বলেন, "ওখানে এমনই অবস্থা যে টাকা পর্যন্ত পাঠানো যাচ্ছে না। ওঁদের ওখানে খাওয়ার কিছু নেই। আমি অনুরোধ জানাবো কেন্দ্রকে যাতে ওঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়।" অন্যদিকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অনেক ভারতীয়ই ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে কলকাতা বা দেশের অন্যান্য প্রান্তে ফিরেছেন। তবে কেন দেবাঞ্জন দের মত গবেষকরা ফিরতে পারলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন করল ইউনাইটেড কিংডম থেকে দেবাঞ্জন ফোনে জানান, "যারা ফিরেছেন, তাঁরা অনেক বেশি বিমান ভাড়া দিয়ে ফিরেছে। অত টাকা আমাদের কাছে ছিল না, তাই ফিরতে পারিনি।"