স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক পূজা খোসলার কথায়, এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি কোভিড চিকিৎসায় গেমচেঞ্জার হতে পারে। জীবনের ঝুঁকি আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপর স্টেরয়েড ব্যবহার প্রয়োজন নাওতে পারে বা কারও কারও ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করলেও চলবে। সব থেকে বড় কথা এতে ব্যয় কমবে। এ ছাড়া মিউকরমাইকোসিস এর মতো মারাত্মক পোস্ট কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।
advertisement
দিন ছয়েক আগে গঙ্গারাম হাসপাতালে ৩২ বছর বয়সি এক স্বাস্থ্যকর্মী ভর্তি হন। তার মায়োলজিয়া, জ্বর, কাশি এবং লিউকোপেনিয়ার সমস্যা ছিল। ৬ দিনের মাথায় তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি ককটেল দেওয়া হয়। দেখা যায় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হতে শুরু করেছে।
আরেক রোগীর বয়স ছিল ৮০। ওই ব্যক্তি আর কে রাজদান ডায়াবিটিস জ্বর কাশি ইত্যাদি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। পাঁচ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি ককটেল দেওয়ায় তিনিও সুস্থ হয়ে যান।
অ্যান্টিবডি ককটেল কী? সহজ ভাবে বললে এটি-দুটি অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণ। এর মধ্যে রয়েছে কাসিরিভিম্যাভ ও আইডেভিম্যাব। চিকিৎসকরা ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে এই ককটেল ব্যবহার করার নিদান দিচ্ছেন। ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা এই মলিকিউল রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে করোনা লড়াইয়ে আগামী দিনে খুব বড় ভূমিকা নিতে পারে এই অ্যান্টিবডি ককটেল। আর তমেনটা হলে পথ দেখাবে ভারতই।