অধিকাংশ মূর্তির গায়ে রঙের প্রলেপ দিতে পারেননি। আবার যেসব মূর্তি বিক্রি করার জন্য এনেছিলেন, অক্ষয় তৃতীয়ার বেলা পর্যন্ত সেগুলি বিক্রি করতে পারেননি। আর্থিক ক্ষতির মুখে মৃৎশিল্পীরা।ব্যবসার একই অবস্থা পুরাতন মালদহের ভোলা পাল, ইংরেজবাজারের রাজু পালদের। রবিবার বেলা পর্যন্ত মালদহের নেতাজী মার্কেট এলাকায় ছাঁচের লক্ষ্মী,গনেশের মূর্তি নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। প্রথম দুইদিন তেমন কেনাকাটা না হলেও আজ রবিবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকাল থেকে বাজার জমবে বলে আশা ছিল তাঁদের। কিন্তু তিনদিনে 80 ভাগ মূর্তি অবিক্রিত থেকে গিয়েছে।
advertisement
মৃৎ শিল্পীরা বলছেন, এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। লাভ,পারিশ্রমিক দূরের কথা মৃর্তি নিয়ে যাতায়াতের খরচ পর্যন্ত ওঠেনি। সব মিলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে মালদহের দরিদ্র মৃৎশিল্পীরা। আগে কখনো এমন বাজার হয়নি বলছেন তাঁরা। মালদহে লকডাউনের জেরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো হচ্ছে না । অল্প কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কার্যতঃ নমঃ নমঃ করে পুজো হয় । ব্যবসায়ী কিষাণ আগরওয়ালা জানান, লকডাউনের জন্য দোকান এক মাসেরও বেশী সময় ধরে বন্ধ। ঝাড়পোছ পর্যন্ত করতে পারেনি। তাই এবছর পূজো করা গেল না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রথযাত্রায় পূজোর চেষ্টা করা হবে।
Sebak Deb Sharma