শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হাসপাতালে বেড খুঁজে পেতে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। সেই সময়টায় রোগীর অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয়, তারই জন্যে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন শিল্পী ও অভিনেতারা। এক সাক্ষাৎকারে ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেলে ঘাটতি দেখা দেওয়ার পর এবং হাসপাতালের বেড খুঁজে পাওয়ার মাঝখানে অনেক সময় ঘন্টা দু’য়েকের ব্যবধান থেকে যাচ্ছে। এই সময়কালে রোগীর স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি ঠেকনা দেওয়ার মতো খানিকটা অক্সিজেন, খানিকটা খাবার, জল, ওষুধপত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করার। ডাক্তার থাকবেন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী যতটা করা সম্ভব আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি। আপাতত একটা জায়গা ভাড়া করা হয়েছে ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার অর্থাৎ সাময়িক সেবাদানের উদ্দেশ্যে। সেখানে অক্সিজেন-সহ অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রাথমিকভাবে মানুষের পাশে থাকার জন্য যাতে একেবারে বিনা চিকিৎসায় হন্যে হয়ে ঘুরতে না হয় রোগী ও তাঁদের পরিবারদের।’
টলিগঞ্জের তারকাদের এই উদ্যোগকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন কুর্নিশ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ, তেমনই সাধুবাদ জানিয়েছেন তারকারাও। খোদ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও একটি ট্যুইট করে ‘Citizen’s Response’-র পোস্টার শেয়ার করেছেন। অভিনেতা লিখেছেন, ‘অসাধারণ এক উদ্যোগ নিয়েছে গোটা টিম। তোমাদের সাফল্য কামনা করি।’ অন্য দিকে, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মতো তারকারা সামিল হয়েছেন করোনার লড়াইয়ে। হাসপাতালে শয্যা, রক্ত, প্লাজমা, অক্সিজেন, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওযুধ খুঁজে দিতে অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
একদিকে যখন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির অসহায়তা বিমর্ষ করছে শহরের মানুষকে ঠিক তেমনই এই ধরণের উদ্যোগ ভরসা যোগাচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরের প্রসিদ্ধ ও প্রাচীন সিনেমা হল প্রিয়া সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ সেখানে একটি টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শিগগিরই শুরু হবে টিকাকরণ। চলবে আগামী ৬ মাস।