বিশ্বের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে ব্রিটেনের নাজেহাল অবস্থা। নতুন ভাবে সংক্রমণ রুখতে ৪০টিরও বেশি দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কারণ গবেষকদের দাবি করোনার নতুন স্ট্রেন মিউটেশনের ফলে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আগের তুলনায় এর সংক্রমণের ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।
মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেছেন, "ব্রিটেনের বিমান চলাচলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়েছে কেন্দ্র। ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কাছে আমার অনুরোধ, ওই নিষেধাজ্ঞা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হোক"।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৫৬ যাত্রী এসেছেন। এখন থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে মোট ৩০টি বিমান উভয় দেশের মধ্যে চলচল করবে। তার মধ্যে ১৫টি বিমান ভারতের এবং ১৫টি ব্রিটেনের। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। অবশ্য প্রত্যেক যাত্রীকেই কোভিড প্রোটকল মেনে চলতে হবে। ওই দেশ থেকে বিমানে ওঠার ৭২ ঘন্টা আগে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। নেগেটিভ এলে রিপোর্ট, তবেই উড়ানের অনুমতি পাওয়া যাবে। এমনকী দেশে ফিরে ওই রিপোর্ট দেখাতে হবে এবং ১৪ দিন কোয়ার্যান্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক।
