চিত্তুরের জেলাশাসক এম হরি নারায়ণ জানিয়েছেন, সরকারি রুইয়া হাসপাতালে অক্সিজেনের সিলিন্ডার ভরতি করতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়েছিল। কিছুক্ষণের জন্য কমে গিয়েছিল অক্সিজেনের চাপ। তার ফলে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।" তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, "পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবারও অক্সিজেনের জোগান শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। সেই কারণে আরও প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।"
advertisement
এমনিতে রুইয়া হাসপাতালের আইসিইউতে প্রায় ৭০০ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। ৩০০ জন ভরতি আছেন জেনারেল ওয়ার্ডে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই বিপত্তি ঘটে। সেই পরিস্থিতিতে রোগীদের পর্যবেক্ষণের দ্রুত আইসিইউতে যান ৩০ জন চিকিৎসক। জেলাশাসক জানিয়েছেন, চেন্নাই থেকে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার আসছিল। তা আসতে কিছুটা দেরি হয়। কিন্তু হাসপাতালে এসে পৌঁছে কাজ শুরুর আগেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাশাসক দাবি করেছেন, হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল না। পর্যাপ্ত জোগানও ছিল। মঙ্গলবার আরও অক্সিজেন আসবে। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পৃথকভাবে তদন্ত করে দেখছে অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশও। ঘটনায় অন্য কোনও কারণ বা অবহেলা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এরকম দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।