জানা গিয়েছে, প্রথমে যখন কমলা, বেদানা বা উন্নত জাতের বিদেশি ফলের গাছ লাগাতে শুরু করেন, তখন কেউই বিশ্বাস করতে পারেনি এই মাটিতে এমন ফলন সম্ভব। কিন্তু সেহেরুল শেখের নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী চেষ্টায় আজ তার আঙিনায় শোভা পাচ্ছে ১০ প্রজাতির উন্নত কমলা লেবু। যার মধ্যে রয়েছে মিশরীয় মালটা, পাকিস্তানি কমলা, ইন্ডিয়ান সিকিম মৌসুমী, ডেকোবন প্রভৃতি।
advertisement
আরও পড়ুন: ICICI ব্যাঙ্ক থেকে ৫ বছরের জন্য ১২ লাখ টাকার Personal Loan নিলে কত EMI দিতে হবে? হিসেব দেখে নিন
শুধু তাই নয়, সৌদি আরব থেকে আনা খেজুর গাছও এই মাটিতে বড় হয়ে উঠছে সফলভাবে। এছাড়াও রয়েছে জে এম টু বেদানা, সাদা জাম, কালো প্রজাতির আখ, উন্নত মানের কাঁঠাল, কাটিমন আম, কাজুবাদাম, লেমন গ্রাস সহ আরও একাধিক উন্নত প্রজাতির ফল গাছ। তার এই চেষ্টার ফল এখন শুধু ফলের ঝুড়িতেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলের চাষিদের মনেও।
আরও পড়ুন: টাকা জমানো সমস্যা তো বটেই, তবে ৪০-৩০-২০-১০ রুল মেনে চললে টাকা দিন দিন কেবল বেড়েই চলবে !
বর্তমানে তার সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই শুরু করেছেন উন্নত জাতের ফলের চাষ। সেহেরুল শেখ এখন শুধু একজন কৃষক নন, গ্রামের সবুজ বিপ্লবের পথপ্রদর্শক। এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে, ইচ্ছা শক্তি আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে নিজের জমিতেই সম্ভব উন্নত চাষ ও আর্থিক সাফল্য অর্জন।
কৌশিক অধিকারী