আজ আমরা আবার এমন এক সাফল্যের কাহিনী শুনব। কাটিহারের এই সফল যুবকের নাম আদিত্য কুমার। আদিত্য লকডাউনের আগে অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। করোনায় সব কিছু বন্ধ হয়ে গেলে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আদিত্য সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর অন্য রাজ্যে যাবেন না।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে? ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই চার কাজ না করলে পস্তাতে হবে
advertisement
বিএসসি পাস আদিত্য ইতিমধ্যেই ফার্মে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই ভাবনাকেই ব্যবসায় রূপান্তরিত করে আদিত্য কাটিহারের সাউরিয়া গ্রামে দেশি মুরগির চাষ শুরু করেন। এখন তিনি পোলট্রি ফার্ম থেকে প্রতি মাসে ১.৫০ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
আদিত্য বলেন, কোনও কাজই ছোট বা বড় নয়। এই চিন্তা করেই একসময় অন্য রাজ্যে কাজ করা আদিত্য এখন দেশি মুরগির খামার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সমগ্র সমাজই তাঁর চিন্তাভাবনার প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর পদবী পরিবর্তন করতে চাইছেন? তাহলে কি পুরনো Aadhaar Card বাতিল হয়ে যাবে ?
বর্তমানে আদিত্য কাটিহারের পাশাপাশি পূর্ণিয়াতেও দেশি মুরগি সরবরাহ করেন। ব্যবসা সফল হওয়ার পর এখন আরও বড় পরিসরে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তিনি। আদিত্য জানিয়েছেন যে তিনি যখন মধ্যপ্রদেশে ছিলেন, তখন সৌরিয়ায় তাঁদের পৈতৃক জমি থেকে কোনও উপার্জনই হত না।
করোনা মহামারীর সময় লকডাউন জারি হলে তিনি সাউরিয়ায় বাবার কাছে এসে ফার্ম চালানো শুরু করেন। বর্তমানে তাঁরা প্রায় ৪ থেকে ৫ কুইন্টাল দেশি মুরগি বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করছেন। আদিত্য কুমার আরও জানান, দেশি মুরগির খুচরো দাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, যেখানে পাইকারি দাম প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। আদিত্য কুমার জানিয়েছেন যে তিনি এই ব্যবসা নিয়ে খুবই খুশি এবং গর্ব অনুভব করেন। পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর আশেপাশের মানুষদেরও আদিত্য সফল হওয়ার পথ বলে দিয়েছেন।