অত্যধিক দামে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে কালো হলুদ অন্যতম। এই ভেষজ মশলা চাষ করে প্রচুর মুনাফা কামানো যায়। তবে কালো হলুদ কালো নয়। আসলে এই গাছের পাতার মাঝখানে কালো ডোরা থাকে। এর কন্দও ভেতর থেকে কালো বা বেগুনি রঙের হয়। তাই এমন নাম। এখানে কালো হলুদ চাষের পদ্ধতি এবং কীভাবে তা থেকে উপার্জন করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা করা হল।
advertisement
আরও পড়ুন: প্ল্যান চেঞ্জ? ট্রেনে টিকিট কাটার পরেও পরিবর্তন করা যায় যাত্রার তারিখ, জানেন
এভাবে করতে হবে কালো হলুদ চাষ: কালো হলুদ চাষের জন্য দোআঁশ মাটিই সবচেয়ে ভাল। চাষের সময় খেয়াল রাখতে হবে, জমিতে যেন জল না জমে। এক হেক্টরে প্রায় ২ কুইন্টাল কালো হলুদের বীজ রোপণ করা যায়। এর চাষে খুব বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। শুধু তাই নয়, কীটনাশকের প্রয়োজনও নেই বললেই চলে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, কালো হলুদ চাষের উৎকৃষ্ট সময় জুন মাস। তবে চাষের আগে জমিতে ভাল করে গোবর সার দিতে হয়। এতে ফলন বাড়ে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসে এই অ্যাপেই জানতে পারবেন বাজেটের খুঁটিনাটি, কীভাবে ডাউনলোড, জানুন
অনাক্রম্যতা বুস্টার হিসেবে ব্যাপক চাহিদা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কালো হলুদের জুড়ি নেই। কোভিডের পর থেকেই এর চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। তার ওপর রয়েছে এর ঔষধি গুণ। ফলে আয়ুর্বেদেও এর বহুল ব্যবহার। বাজারে সাধারণ হলুদের দাম ৬০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি, সেখানে কালো হলুদের দাম প্রতি কেজিতে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে কালো হলুদের চাহিদা এত বেশি, বাজারে পড়া মাত্র বিক্রি হয়ে যায়।
কালো হলুদ চাষ থেকে আয়: এক একর জমিতে ৫০ থেকে ৬০ কুইন্টাল কাঁচা হলুদ উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ শুকানোর পরে সহজেই ১২ থেকে ১৫ কুইন্টাল কালো হলুদ মিলবে। কমপক্ষে কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৪০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। এর উৎপাদন কম, কিন্তু বাজারে চাহিদা থাকায় দাম অনেক বেশি।