মার্কেট রিসার্চ: যে কোনও ব্যবসার ক্ষেত্রেই মার্কেট রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ। চায়ের ব্যবসাও আলাদা নয়। আসল কথা হল প্রয়োজনীয়তা বোঝা। কোথায় চায়ের নিয়মিত চাহিদা থাকবে? যেমন হাসপাতাল, আদালত, এমএনসি, রেলস্টেশন ইত্যাদি। দ্বিতীয়ত যে এলাকায় কেউ ব্যবসা শুরু করতে চায় সেখানকার বাজার বিশ্লেষণও করতে হবে। এবং সেই এলাকার মানুষ ঠিক কেমন চা পছন্দ করে সেটাও সমীক্ষা করে দেখে নিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য বাম্পার খবর! ১৩তম কিস্তির আগে পাবেন ৩,০০০ টাকা
ভাল পরিকল্পনা: পরবর্তী পদক্ষেপ হল সঠিক পরিকল্পনা করা। প্রথমত বাজেট অনুযায়ী সেটআপ তৈরি। এবং দ্বিতীয়ত চায়ের দোকানে কোন কোন পণ্য বিক্রি করা হবে সেটা ঠিক করা। যেমন চা, কফি, বিস্কুট ইত্যদি। এবার চায়ের দাম। গ্লাসে, ভাঁড়ে না কি কাপে। আকার অনুযায়ী দাম ঠিক হবে।
পণ্যের উন্নতি: মানুষ প্রতিদিন চা পান করে। তাই চায়ের স্বাদ এবং মানের উপর অনেককিছু নির্ভর করবে। স্বাদ বাড়াতে চায়ের অতিরিক্ত কিছু যোগ করা যায়। অভিনবত্ব আনা যায় পরিবেশনে।
আরও পড়ুন: ৯০ শতাংশ কর্মীরই চাকরি গেছে, তালা ঝুলল ট্যুইটারের দিল্লি-মুম্বইয়ের অফিসে
ঋণ: চায়ের ব্যবসা শুরুর জন্য পর্যাপ্ত মূলধন না থাকলে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং মডেল নিয়ে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হওয়া যায়। মডেল পছন্দ না হলে তাঁরা ঋণ দিতে পারেন। এই ধরণের ঋণে সাধারণত জামানত লাগে। ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোরও দেখা হয়। ভারত সরকার বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণ দিচ্ছে। সেখানেও আবেদন করা যেতে পারে।
রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স: প্রতিটা ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। লাইসেন্সও গুরুত্বপূর্ণ। একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব, কোম্পানি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেলের জন্য লাইসেন্সের শর্ত আলাদা। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের ট্রেড লাইসেন্স এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লাইসেন্স করানোও বাধ্যতামূলক।