জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় আয় বাড়ছে না। এদিকে মন্দার আশঙ্কায় অধিকাংশ কোম্পানিই ব্যাপক ছাঁটাই শুরু করেছে। সব মিলিয়ে প্রবল চাপে দিন কাটছে মধ্যবিত্তের। এমনটা চলতে থাকলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ খাতে বিরাট লাভের সম্ভাবনা! জানুন বাজেটে নিয়ে কী বলছেন অর্থনীতিবিদ
advertisement
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিশেষ করে যে পরিবারগুলির বার্ষিক আয় ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে তাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কারণ তাঁরা ভর্তুকি পান না এবং মুদ্রাস্ফীতির সম্পূর্ণ ক্ষতি তাঁদেরকেই বইতে হয়। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, মূল্যস্ফীতি দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের উপর করের মতো।
তাহলে কি অর্থমন্ত্রী মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দেবেন? উত্তর হ্যাঁ এবং না। কেন্দ্র সরকার জানে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই আমজনতাকে খুশি করার একটা লক্ষ্য থাকবে। কিন্তু আগামী বছরের জন্য রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নামিয়ে আনার জন্য ব্যয় কমানোর চাপও থাকবে সরকারের উপর। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ব্যয় হ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে, তার একটা রোডম্যাপ বাজেটে দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সামনেই বাজেট ২০২৩! তার আগে জানুন এই সংক্রান্ত কিছু প্রচলিত শব্দ
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: ভর্তুকি এবং কর সংস্কারের মতো জনপ্রিয় পদক্ষেপের জায়গা কম। তাই প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তবেই সুরাহা হবে মধ্যবিত্তের। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হলে মধ্যবিত্ত পরিবারের আয় বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর সাম্প্রতিক ছাঁটাইয়ের প্রভাব কমাতে সরকার একটি শহুরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্পও চালু করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ আয়কর: ব্যক্তিগত খরচ এবং পরিবারের সঞ্চয় হ্রাসের সঙ্গে সরকার মধ্যবিত্ত পরিবারের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বাড়াতে এবং তাদের বোঝা কমাতে কিছু ছাড় ঘোষণা করতে পারে। পুরনো আয়কর ব্যবস্থার অধীনে হাউজিং লোন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতেও কিছু ডিডাকশনের ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী। তবে নতুন আয়কর ব্যবস্থাতেই যাবতীয় ফোকাস করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।