TRENDING:

চলতি বছরে সোনায় বিনিয়োগ করলে আপনার কি লাভ হবে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত!

Last Updated:

সোনা এবং রুপোয় বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না। যদিও ২০২২ সালটা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা বছর ছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: সোনা এবং রুপোয় যাঁরা বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সুখবর। কারণ চলতি বছরটা অর্থাৎ ২০২৩ সালটা দেখে মনে হচ্ছে যে, সোনায় বিনিয়োগ সাফল্য পাবে। যা সাধারণ বাজারকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। আসলে এই বছরটায় সোনার দরের উপর যে বিষয়গুলি সব থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করবে, সেগুলি হল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কেনাকাটা, গয়নার চাহিদা বৃদ্ধি এবং সোনার সীমিত জোগান। নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে গোল্ড মাইনার (জিডিএক্স) বিনিয়োগকারীকে সোনার দামের লিভারেজ এবং উচ্চ ঝুঁকি-সামঞ্জস্যপূর্ণ রিটার্নের সম্ভাবনা প্রদান করতে পারে। তাই সোনা এবং রুপোয় বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না। যদিও ২০২২ সালটা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা বছর ছিল।
advertisement

আরও পড়ুন: কমার আশা জাগিয়ে ফের বাড়ল সোনা-রুপোর দাম! কত যাচ্ছে আজকের বাজারদর?

২৯ ডিসেম্বরের হিসেব অনুযায়ী, সোনার দাম -১.২% ইয়ার-টু-ডেট ভিত্তিতে কমেছে। শুধু তা-ই নয়, গোল্ড মাইনার্স ইনডেক্স এবং জুনিয়র মাইনার্সের পারফরমেন্সও খুবই খারাপ ছিল। ইয়ার-টু-ডেটের ভিত্তিতে রিটার্ন এসেছে -৭.৪২% এবং -১২.০২%।

চলতি বছরে সোনার দাম বৃদ্ধির আশার কিছু কারণ:

advertisement

২০২২ সালে সোনার পারফরমেন্স খুবই দুর্বল ছিল। তবে বেশ কিছু কারণ থেকে স্পষ্ট যে, চলতি বছরে সোনা থেকে দুর্দান্ত রিটার্ন পাওয়া যাবে। দেখে নেওয়া যাক সেই কারণগুলি।

আরও পড়ুন: Bank Strike 2023: গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে! দেশভর ২দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, ATM-সহ একাধিক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা

সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের নতুন কেনাকাটা (বিশেষ করে চিন থেকে):

advertisement

এই বছর সোনার বাজারে এই বিষয়টার উপরেই প্রথম নজর দিতে হবে। সারা বিশ্বের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, কিংবা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে চিন, তুরস্ক এবং ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক রেকর্ড গতিতে সোনা কিনছে। আর এই প্রবণতা চলে আসছে টানা ১৩ বছর ধরে। তবে সম্প্রতি এই গতি অনেকটাই বেড়েছে। আসলে তারা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গোল্ড রিজার্ভ বাড়াচ্ছে। মূলত ফরেন এক্সচেঞ্জ হোল্ডিং এবং মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ইয়ার-টু-ডেট সোনার চাহিদা ৬৭৩ টন, যা ১৯৬৭ সাল থেকে বার্ষিক সর্বমোট পরিমাণকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

advertisement

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কেনাকাটা মূলত ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিরাপদ সম্পদের দিকে চালিত হচ্ছে। গত নভেম্বরে চিনের পিপলস ব্যাঙ্ক ঘোষণা করে যে, তারা ৩২ টন সোনা কিনেছে আউন্স প্রতি ১ হাজার ৬৫০ ডলারের হিসেবে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পরে এই প্রথম কোনও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক নিজেদের গোল্ড রিজার্ভে পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করল। আর চলতি বছরেও এই প্রবণতা বজায় থাকবে। যা সোনার দর বাড়াতে সহায়ক হয়ে উঠবে।

advertisement

সোনার গয়নার চাহিদা:

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সোনার গহনার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। যা পৌঁছয় ৫২৩ টনে। গত কয়েক দশকে বার্ষিক ভিত্তিতে সোনার গয়নার চাহিদা ৮৪০ থেকে ২১০০ টন পর্যন্ত হয়েছে। প্রতি বছরে গড়ে ১৫০০ টন। চিনে কোভিড বিধিনিষেধ খানিক শিথিল হওয়ার ফলে সোনার গয়নার চাহিদা বাড়বে বলে আশা। বলে দেওয়া ভাল যে, বর্তমানে সারা বিশ্বের সোনার গয়নার সবথেকে বড় বাজার হল চিন। বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে চিনের অর্থনীতি পুরোপুরি ভাবে খুলে যাবে। এমনকী এই মুহূর্তের খবর অনুযায়ী, চিনের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই পুনরায় খুলতে শুরু করেছে। চিনে সোনার গয়নার চাহিদাকে প্রভাবিত করে এখানকার সাংস্কৃতিক বিশ্বাস। ফলে চিনের বেশির ভাগ মানুষের কাছে সোনাকে ভাল আর্থিক পরিকল্পনা এবং সৌভাগ্য আনয়নের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। বাজি ধরে বলা যায় যে, চলতি বছরে চিনের মানুষের সোনা কেনার পরিমাণ বাড়বে।

চাহিদা এবং সরবরাহের পরিসংখ্যান:

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, গত বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মোট সোনার সরবারহ কিছুটা হলেও বেড়েছে। ইয়ার-ওভার-ইয়ারের ভিত্তিতে ১ শতাংশ বেড়ে তা হয়েছে ১ হাজার ২১৫ টন। ২০১৮ সাল থেকে মাইন প্রোডাকশনের মাত্রা বেড়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভের হার কমানোর বিষয়:

সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফেডারেল রিজার্ভ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। তবে আগামী কয়েক বছরে এর হার কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিছু বিশেষজ্ঞের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি বছরের শেষ দিক থেকেই এটা ঘটতে পারে। কারণ কোভিড অতিমারী থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। কম সুদের হার কিন্তু সোনার দরের জন্য বেশ ইতিবাচক একটা দিক। কারণ এটা সোনা রাখার খরচ কমাবে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

দুর্বল মার্কিন ডলার:

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ব্রাত্য বসুর সিনেমায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা! কবিগুরুর মাটিতে বসে কী বললেন?
আরও দেখুন

সোনার দর এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের বিপরীত মুখে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ডলার দর কমলে কখনও কখনও সোনার দর বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক কালে ডলারের দুর্বল অবস্থা দেখা যাচ্ছে। আর সেই অবস্থা গোটা বছরটা জুড়েই চলার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে সোনার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
চলতি বছরে সোনায় বিনিয়োগ করলে আপনার কি লাভ হবে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল