২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই শেয়ার ক্রমাগত তেজ গতিতে বেড়ে চলেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের সূচনা হয়। এর ফলে বিশ্বের শেয়ার বাজারে পতন দেখা দেয়। বিশ্বের শেয়ার বাজারে ক্রমাগত ধ্বস নামতে দেখা যায়। কিন্তু আইটিসি-র শেয়ার সেই সময়ও মজবুত ছিল। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত এই শেয়ার ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইটিসি-র শেয়ার ২৪৯.৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪৮.৭৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ-বার সমুদ্রের ঢেউ এমনকি জামাকাপড় থেকেও উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ! কী করে সম্ভব
ভবিষ্যতে কী হতে পারে -
জি বিজনেসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞ মুদিত জানিয়েছেন যে, আইটিসি-র শেয়ার নিজেদের বার্ষিক উচ্চতা বজায় রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও এই শেয়ার আরও তেজ গতিতে বৃদ্ধি পাবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সন্দীপ বাগলে আইটিসি-র শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এই শেয়ারে ৩৫০ টাকার পরবর্তী টার্গেট দিয়েছেন। সুতরাং আইটিসি-র শেয়ারে বিনিয়োগ করে ভাল টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। শেয়ার বাজারের চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও আইটিসি-র শেয়ার নিজেদের বৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে আইটিসি-র শেয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প।
আরও পড়ুন: বড় সুখবর, ফিক্সড ডিপোজিটে বেশি সুদ দেওয়ার ঘোষণা করল এই ব্যাঙ্ক
আইটিসির সর্বাধিক বৃদ্ধি -
পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে আইটিসি-র শেয়ার অলটাইম হাই রেকর্ড বানিয়ে ছিল। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই আইটিসি-র শেয়ার ৩৬৭.৭০ টাকায় পৌঁছে সেই রেকর্ড বানায়। এরপর আইটিসি-র শেয়ারে একটানা পতন হয়। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ এই শেয়ার ১৩৪.৬০ টাকায় পৌঁছে লোয়ের রেকর্ড বানায়। বর্তমানে এই শেয়ার ২০, ৫০ এবং ১০০ দিনের মুভিং অ্যাভারেজের ওপরে চলছে অর্থাৎ এই শেয়ার শর্ট টাইম থেকে শুরু করে লং টার্মের জন্য বুলিশ জোনে পৌঁছে গিয়েছে। শেয়ার বাজারে সবসময় ওঠা-নামা লেগে রয়েছে। এর ফলে শেয়ার বাজার কখনও তেজ গতিতে বৃদ্ধি পায়, আবার কখনও আচমকা পতন দেখা যায়। কিন্তু শেয়ার বাজারে বেশি সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে পারলে ভাল টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। মোটা টাকা রিটার্ন পেতে গেলে আইটিসি-র শেয়ার ভাল বিকল্প বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।