বিমা বিকল্প: মূল্যবান জিনিসপত্রের সুরক্ষার জন্য লকারের বিমা করা যায়। সাধারণ বিমা কোম্পানিই লকারের বিমাও করে। আইএফএফসিও টোকিও জেনারেল ইনস্যুরেন্স একটি স্বতন্ত্র ব্যাঙ্ক লকার পলিসি নিয়ে এসেছে। এতে গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রের বিমা কভার দেওয়া হয়। আগুন লেগে যাওয়া, ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ছাড়া যে কোনও বিপর্যয়ে বিমার সুবিধে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: উপার্জনের অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে বেশি লাভ, দেখে নিন ৫ সেরা বিকল্প
তবে বেশিরভাগ আর্থিক উপদেষ্টারা লকার কভারের পরিবর্তে গয়নার বিমা করানোর সুপারিশ করেন। কারণ ব্যাঙ্ক লঙ্কারে গয়না হারানোর সম্ভাবনা শূন্য না হলেও বেশ কম। তাছাড়া এই কভারে গয়না যে কোনও জায়গায় নিরাপদ। তবে মনে রাখতে হবে, যদি লকার চুরি হয় এবং গ্রাহক এফআইআর করেন তাহলে বিমা কোম্পানি ব্যাঙ্কের দ্বারা দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ীই কাজ করবেন, কারণ তাঁরাই লকারের মালিক। ফলে জিনিসপত্র পুনরুদ্ধারের অপেক্ষা দীর্ঘতর হতে পারে।
আরবিআই-এর দেওয়া শর্ত: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা গ্রাহকের অবহেলার কারণে মূল্যবান জিনিসপত্রের ক্ষতি হলে ব্যাঙ্ক এর জন্য দায়ী থাকবে না।
আরও পড়ুন: আজ বাতিল ১৪২ ট্রেন, স্টেশনে ঢোকার আগে দেখে নিন তালিকা!
যে ব্যাঙ্কে লকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সেই ব্যাঙ্ক লকার বিমা বিক্রি করতে পারে না।
এই নিয়মগুলি ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কার্যকর এবং নতুন লকার অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য প্রযোজ্য৷ গ্রাহক যদি একটি বিদ্যমান অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হন কিন্তু নতুন ব্যবস্থার জন্য যোগ্য হতে চান তবে ব্যাঙ্কের সঙ্গে নতুন লকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। ব্যাঙ্ককে ১ জানুয়ারি, ২০২৩-এর মধ্যে বিদ্যমান গ্রাহকদের সঙ্গে তার লকার চুক্তি নবীকরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবার লকার খোলার সময় ব্যাঙ্ক গ্রাহককে একটি ইমেল এবং এসএমএস সতর্কতা পাঠাবে। গ্রাহক অনুমোদন না করলে এটা সতর্ক করবে।
নতুন লকার বরাদ্দের প্রক্রিয়া এখন আরও স্বচ্ছ, ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের তালিকা পাবলিক ডোমেনে ঘোষণা করতে হবে।
ব্যাঙ্ককে লকার রুমের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি সিসিটিভি নজরদারির অধীনে থাকা প্রয়োজন, এবং রেকর্ডিংটি কমপক্ষে ১৮০ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। যদি তাঁর লকার সম্পর্কে গ্রাহকের অভিযোগ থাকে, তবে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।