পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক অনুযায়ী, ২০১৮ আর্থিক বছরে এলপিজি ভর্তুকির উপর ব্যয় হয়েছে ২৩৪৬৪ কোটি টাকা, ২০১৯ আর্থিক বছরে যা পৌঁছেছিল ৩৭২০৯ কোটি টাকায়।
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ায় শুরু হল স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প, আবেদন করলেন ৪৫০০ কর্মচারী
গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে ভর্তুকির চাপ
সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের পেট্রোলিয়াম উৎপাদনের দাম। এমন হওয়া সত্ত্বেও উপভোক্তাদের চাপ কমানোর জন্য প্রতিনিয়ত দাম কম রাখার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। গত বছর ভর্তুকি হ্রাস পাওয়ার প্রধান কারণ হল সুবিধাভোগীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়া এবং গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরো মূল্য বৃদ্ধি।
advertisement
দুই বছরে কমেছে ৯.৩ কোটি সুবিধাভোগী
২০২০ সালের জুন মাসে সরকার বলেছিল যে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের দেওয়া হবে গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি। এরপর থেকে ভর্তুকি পাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা ৯.৩ কোটি কমেছে। এই সময়ে বৃদ্ধি পায় এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। এই মাসের শুরুতে, সংস্থাগুলি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছিল ৫০ টাকা, এরপর দিল্লিতে এলপিজির দাম বেড়ে হয়েছিল ১০৫৩ টাকা।
আরও পড়ুন: জেনে নিন FD থেকে পাওয়া সুদের উপর কীভাবে এবং কত ট্যাক্স ধার্য করা হয়
দুই বছর ধরে বাড়ছে দাম
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-এর এপ্রিল মাসে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৭০৬.৫০ টাকা, যা ২০২০ সালের মে মাসে কমে হয় ৫৮১.৫ টাকা। এরপর থেকে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মাত্র ১০ টাকা কমলেও তারপর থেকে এর দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে প্রতি সিলিন্ডারে দেওয়া হবে ২০০ টাকার ভর্তুকি
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেছেন, চলতি আর্থিক বছরে উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের দেওয়া হবে প্রতি সিলিন্ডারে ২০০ টাকা ভর্তুকি। এক বছরে ১২টি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। সুবিধাভোগীরা বাজার মূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার কেনার পর ভর্তুকির টাকা সরাসরি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হবে।