এই স্কিমে বিনিয়োগকারী প্রত্যেক মাসের একটি নির্দিষ্ট তারিখে বেতনের মতো রিটার্ন পাবেন। এই প্রতিবেদনে পোস্ট অফিস এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাসিক আয় যোজনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। এই স্কিমগুলির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
আরও পড়ুন: গুণে শেষ করা যাবে না আপনার টাকা! জেনে নিন সহজে টাকা করার মোক্ষম কৌশল
advertisement
স্টেট ব্যাঙ্কের মাসিক আয় স্কিমের মধ্যে অ্যানুইটি ডিপোজিট স্কিম (ডিপোজিট স্কিম) হল অন্যতম। এই যোজনায় বিনিয়োগকারীকে একবারে সমস্ত টাকা লগ্নি করতে হবে। কয়েক মাস পর থেকে ব্যাঙ্ক প্রত্যেক মাসে মূলধনের উপর সুদ প্রদান করবে।
অ্যানুইটি ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগের সময়ের সীমা একটি ভিন্ন। বিনিয়োগকারী ৩৬ মাস, ৬০ মাস, ৮৪ মাস এবং ১২০ মাসের জন্য বিনিয়োগ করতে পারে। এসবিআই-এর এই স্কিমে বিনিয়োগের কোনও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হলে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা লগ্নি করা উচিত। এই যোজনার অধীনে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার গ্রাহককে একটি উইনিভার্সাল পাসবুক দেওয়া হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীরাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই পাঁচটি ভুল করলে আফসোস করতে হবে গোটা জীবন
স্টেট ব্যাঙ্কের এই স্কিমের মাধ্যমে কোনও বিনিয়োগকারী যদি মাসে ১০ হাজার টাকা রিটার্ন পেটে চান তবে তাঁকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লগ্নি করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের তরফে ৫.৪৫ থেকে ৫.৫০ শতাংশ সুদ প্রদান করা হবে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সুদের পরিমাণ ৫.৯৫ শতাংশ থেকে ৬.৩০ শতাংশ।
পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম (POMIS) হল একটি সরকারি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। এই ক্ষেত্রেও বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের রিটার্ন পাবে। পোস্ট অফিস স্কিমে বিনিয়োগে লোকসানের কোনও ঝুঁকি থাকে না।
এই স্কিমের অধীনে সিঙ্গল বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে হয়। বার্ষিক সুদের হার নির্ধারণের পর মাসে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সুদের টাকা পাঠানো হয়। এই যোজনার লক-ইন পিরিয়ড হল ৫ বছর। এই সময়সীমা আরও ৫ বছর বৃদ্ধি করা যেতে অয়ারে।
পোস্ট অফিসের মাসিক আয় স্কিমে বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। যদি কোনও বিনিয়োগকারী এই প্রকল্পে ৯ লক্ষ টাকা একটি যৌথ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করেন তবে ৬.৬ শতাংশ হারে তিনি ৫৯,৪০০ টাকা পাবে। এই ক্ষেত্রে মাসিক ৪,৯৫০ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে।