Money Making Tips: গুণে শেষ করা যাবে না আপনার টাকা! জেনে নিন সহজে টাকা করার মোক্ষম কৌশল
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
Money Making Tips: বিনিয়োগের মাধ্যমে কোটিপতি হতে কত সময় লাগতে পারে?
#কলকাতা: তাড়া তাড়া নোট ছড়িয়ে থাকুক ঘর জুড়ে, এমন স্বপ্ন হয় তো সকলেই দেখেন। কিন্তু তেমনটাই কি আর সম্ভব! আসলে অর্থ যেমনই হোক, অর্থবান হতে চায় সব মানুষই। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন মনের মধ্যে পুষে রাখে ৮ থেকে ৮০- টাকার মর্ম জানে এমন সব মানুষই। কিন্তু ঠিক কী ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় এই স্বপ্ন পূরণের পথে সেটা প্রায় কেউই জানেন না।
কিন্তু বাস্তব হল এই যে কোটিপতি হওয়ার জন্য কোনও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার দরকার হয় না। জিততে হয় না কোনও লটারিও। বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টির সফল চিত্র অঙ্কন করা সম্ভব। সুশৃঙ্খল বিনিয়োগের মাধ্যমে ধীরে ধীরে যে কোনও মানুষ কোটিপতি হয়ে উঠতে পারেন। ধীর অথচ, অবিচলিত গতিতে প্রতিযোগিতায় জয় আসতে পারে।
advertisement
advertisement
বিনিয়োগের মাধ্যমে কোটিপতি হতে কত সময় লাগতে পারে?
সাধারণ তিনটি পথে বিনিয়োগ করে থাকেন এ দেশের মানুষ— PPF (PPF), ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এবং মিউচুয়াল ফান্ড। এগুলির পারস্পরিক তুলনা করলেই পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে একজন বিনিয়োগকারীর কতটা সময় লাগতে পারে কোটিপতি হতে। অন্তত খানিকটা ধারণা পাওয়া যাবে।
PPF—
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) হল বিনিয়োগ পন্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ পন্থা। এর সাহায্যে আয়কর বাঁচানোও সম্ভব। এটি ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত। মূল এবং সুদের উপর নির্ভরযোগ্য রিটার্নের আশ্বাস থাকে।
advertisement
খুবই জনপ্রিয় এই যোজনা। কিন্তু সমস্যা হল PPF-এর সুদের হার পুরো মেয়াদ জুড়ে স্থির থাকে না। অর্থ মন্ত্রক প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে অন্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলির সঙ্গে PPF-এর সুদের হারও পর্যালোচনা করে। সুদের হার প্রাথমিকভাবে সরকারি বন্ডের হারের ভিত্তিতে স্থির করা হয়। বর্তমানে, ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য কেন্দ্র PPF সুদের হার ৭.১% প্রতি বছর রেখেছে।
advertisement
ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট—
ব্যাঙ্ক FD-ও আমাদের দেশে সবচেয়ে সাধারণ এবং ঐতিহ্যবাহী বিনিয়োগের উপকরণগুলির মধ্যে একটি। নির্ধারিত ব্যাঙ্কে খোলা স্থায়ী আমানতগুলিতে (RBI তালিকা অনুসারে) DICGC-এর অধীনে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা করা হয়৷ সহজ কথায়, DICGC (ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন), যা আরবিআই-এর একটি সহায়ক সংস্থা, ক্রমবর্ধমান ব্যাঙ্ক আমানতের জন্য বিমা কভার প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে FD, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, রেকারিং অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। ব্যাঙ্কের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রতি ব্যাঙ্কের প্রতিটি আমানত পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা করানো হয়।
advertisement
এ ছাড়াও, PPF-এর সঙ্গে তুলনা করলে FD-তে কোনও বাধ্যতামূলক লক-ইন পিরিয়ড নেই। অর্থাৎ যে কোনও সময় টাকা তোলা যেতে পারে। তবে যদি কেউ ‘ট্যাক্স সেভার FD’ বেছে নেন তাঁর কথা আলাদা। এমনকী এই ট্যাক্স-সেভিং FD-গুলির জন্যও ‘লক-ইন’ পিরিয়ড মাত্র পাঁচ বছরের। PPF-এর ক্ষেত্রে এই লক-ইন পিরিয়ড ১৫ বছরের হয়ে থাকে। রিটর্নের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে সুদের হার খুব বেশি নয়। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এবং ছোট অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও বর্তমান ফিক্সড ডিপোজিটের উপর প্রদেয় সুদের হার বার্ষিক ৩ থেকে ৭ শতাংশের ভিতর ওঠানামা করে থাকে।
advertisement
মিউচুয়াল ফান্ড—
মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্নের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে জেনে নিতে হবে এই অংশের তিনটি ধাপ— ডেট ফান্ড (Debt Fund), ইক্যুইটি (Equity) এবং হাইব্রিড (Hybrid) ফান্ডের বিষয়ে। কারণ এর মধ্যে নানা ধরনের ঝুঁকির প্রসঙ্গ রয়েছে। তাই বিস্তৃত ভাবে জেনে নেওয়া দরকার।
১. ডেট ফান্ড
ডেট ফান্ড হল এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড যা নির্দিষ্ট আয়ের নিরাপত্তা যেমন কর্পোরেট বন্ড, ট্রেজারি বিল, বাণিজ্যিক কাগজপত্র, সরকারি নথি এবং অন্যান্য অসংখ্য অর্থ বাজারের উপকরণগুলিতে বিনিয়োগ করে। এই উপকরণগুলির প্রতিটিতে একটি পূর্ব-নির্ধারিত মেয়াদপূর্তির তারিখ থাকে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট থাকে সুদের হারও। যা বিনিয়োগকারী পলিসি ম্যাচিওর করার বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় পেতে পারেন। এই সিকিউরিটি রিটার্নগুলি সাধারণত বাজারের ওঠানামা দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাই এগুলি ইক্যুইটিগুলির তুলনায় অনেক কম অস্থির। যার ফলে ডেট ফান্ডের নিরাপত্তা তুলনামূলক ভাবে বেশি। ফলে ঝুঁকি-বিমুখ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উপযুক্ত বিনিয়োগের বিকল্প হতে পারে।
advertisement
রিটার্নের দিক থেকে বিবেচনা করলে ডেট ফান্ডের বর্তমান বিভাগের গড় আয় (ডিরেক্ট প্ল্যান ২০ জুলাই ২০২২ অনুযায়ী) হল:
দীর্ঘ মেয়াদি তহবিল: ১.১৬ শতাংশ (১ বছর), ৩.৬১ শতাংশ (৩ বছর), ৫.৮৭ শতাংশ (৫ বছর), ৭.৮৭ শতাংশ (৭ বছর)
মধ্যম মেয়াদি তহবিল : ৩.৯২ শতাংশ (১ বছর), ৫.৮৫শতাংশ (৩ বছর), ৬.০০ শতাংশ (৫ বছর), ৭.১৪ শতাংশ (৭ বছর)
লিকুইড ফান্ড: ৩.৭২ শতাংশ (১ বছর), ৪.০৯ শতাংশ (৩ বছর), ৫.৩৩ শতাংশ (৫ বছর), ৫.৯৩ শতাংশ (৭ বছর)
২. হাইব্রিড ফান্ড
নাম থেকেই বোঝা যায়, হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড দুই বা ততোধিক সম্পদ শ্রেণিতে বিনিয়োগ করে থাকে। এটিকে ইক্যুইটি এবং ডেট ফান্ডের সংমিশ্রণ বলা যেতে পারে। এই ধরনের বিনিয়োগে, বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির নিরিখে বিভিন্ন স্কিমের জন্য ইক্যুইটি এবং ডেট বিনিয়োগ বরাদ্দের বিভিন্ন অনুপাত। যাঁরা নিরাপত্তা, আয় এবং পরিমিত মূলধনের মিশ্রণ পেতে চান, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ। ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে, হাইব্রিড ফান্ডগুলি ডেট ফান্ডের চেয়ে খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের চেয়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত হতে পারে।
হাইব্রিড ফান্ডের রিটার্ন সম্পর্কে বলা যায়, হাইব্রিড ফান্ডের বর্তমান বিভাগের গড় আয় (ডিরেক্ট প্ল্যান, ২০ জুলাই ২০২২ অনুযায়ী):
Aggressive Hybrid : ৪.৭৩% (১ বছর), ১৩.৯৪% (৩ বছর)
Balanced Hybrid: ৪.৭৪% (১ বছর), ৯.৫৮% (৩ বছর), ৬.৯৩% (৫ বছর), ৭.৯৭% (৭ বছর)
Conservative Hybrid: ৪.৯০% (১ বছর), ৭.৮৭% (৩ বছর), ৬.৬৮% (৫ বছর), ৭.৭৮% (৭ বছর)
৩. ইক্যুইটি ফান্ড
ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের অর্থ একত্রিত করে প্রধানত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগ করে। সাধারণত, ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজাররা বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করে, তা ছড়িয়ে দিয়ে বা বিভিন্ন বাজার মূলধন যেমন লার্জ ক্যাপ, ফ্লেক্সি ক্যাপ, মিড ক্যাপ বা স্মল ক্যাপ-সহ উচ্চ হারে সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী আমানত বা ঋণ-ভিত্তিক তহবিলের তুলনায় অনেক বেশি রিটার্ন তৈরি করে। মনে রাখতে হবে, ইক্যুইটি ফান্ডের কর্মক্ষমতা বাজারের গতিশীলতার উপর নির্ভর করে। তাই এতে ঝুঁকিও বেশি থাকে। অস্থিরতার মাত্রা আবার স্বল্প মেয়াদে বেশি কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কম।
ইক্যুইটি ফান্ডের বর্তমান বিভাগের গড় রিটার্ন (ডিরেক্ট প্ল্যান, ২০ জুলাই ২০২২ অনুযায়ী) হল:
Large Cap : ৫.৬১% (১ বছর), ১৪.৩০% (৩ বছর), ১০.৯৫% (৫ বছর), ১০.৫২% (৭ বছর)
Mid Cap: ৬.২১% (১ বছর), ২৩.২৪% (৩ বছর), ১২.৭৩% (৫ বছর), ১৩.২০% (৭ বছর)
Small Cap: ৩.৯৯% (১ বছর), ২৮.৮৫% (৩ বছর)
Flexi Cap: ৪.৯৩% (১ বছর), ১৫.৯২% (৩ বছর)
মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন সব সময় বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে থাকে।
কোটিপতি হওয়ার জন্য দরকার সময় এবং অর্থের
কথায় বলে টাকায় টাকা আনে। সে কথা সত্য। সেই সঙ্গে খানিকটা সময়ও দিতে হবে নিজেকে কোটিপতি হিসেবে দেখার জন্য। এ বার দেখে নেওয়া যাক এক মিলিয়ন টাকা (১০ লাখ টাকা) জমা করতে কত সময় এবং অর্থ লাগতে পারে।
পিপিএফ (৭.১% রিটার্ন ধরে)
ব্যাঙ্ক এফডি (অনুমানিক সুদের হার ৫% ধরে)
প্রতি মাসে আনুমানিক ৬,৪১৩ টাকা বিনিয়োগ করলে, ১০ বছরে ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে।
৫ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইলে বিনিয়োগকারীকে প্রতি মাসে আনুমানিক ১৪,৬৪৩ টাকা রাখা হবে।
প্রতি মাসে আনুমানিক ২৫,৬৯৭ টাকা রাখতে পারলে ৩ বছরেই হাতে উঠে আসতে পারে ১০ লক্ষ টাকা।
প্রতি মাসে আনুমানিক ৯,৯২৫ টাকা বিনিয়োগ করলে ৭ বছরেই পৌঁছনো যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
মাত্র ১ বছরে ১০ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে চাইলে বিনিয়োগ করতে হবে ৮১,১০২ টাকা।
ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড (১০% রিটার্ন ধরে নিয়ে)
কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে আনুমানিক ২,৩৯২ টাকা বিনিয়োগ করলে ১৫ বছরে ১০ লক্ষ টাকা ফেরত পেতে পারেন।
প্রতি মাসে আনুমানিক ৪৮৪১ টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ বছরে ১০ লক্ষ টাকা মিলতে পারে।
৫ বছরে ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে প্রতি মাসে আনুমানিক ১২,৮০৬ টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
আনুমানিক ৭৮, ৯২৪ টাকা প্রতিমাসে বিনিয়োগ করলে ১ বছরেই ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া সম্ভব।
ডেট মিউচুয়াল ফান্ড (৪% রিটার্ন ধরে)
প্রতি মাসে আনুমানিক ৬,৭৬৮ বিনিয়োগে ১০ বছরে ১০ লক্ষ।
৫ বছরে ১০ লক্ষ টাকার লক্ষ্যে প্রতি মাসে আনুমানিক ১৫,০৩৩ টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রতি মাসে আনুমানিক ৮১,৫৪৪ টাকা বিনিয়োগ করলে ১ বছরেই পৌঁছন যাবে লক্ষ্যে।
হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড (গড় রিটার্ন ৬%)
১০ বছরে ১০ লক্ষ টাকার জন্য প্রতি মাসে আনুমানিক ৬,০৭১ টাকা বিনিয়োগ।
৫ বছরে ওই টাকা পেতে গেলে প্রতি মাসে আনুমানিক ১৪,২৬১ টাকা বিনিয়োগ দরকার।
প্রতি মাসে আনুমানিক ৮০,৬৬৩ টাকা বিনিয়োগ করলে ১ বছরেই পৌঁছনো যাবে লক্ষ্যমাত্রায়।
অবিচল থাকার শর্ত
আসলে বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ভর করে নির্বাচিত বিনিয়োগের পন্থা, তার রিটার্ন এবং মেয়াদের উপর। যত বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ করা যাবে তত তাড়াতাড়ি কোটিপতি হওয়া যাবে। তবে ঝুঁকি এবং রিটার্ন সম্পর্কিত মূল্যায়ন করার পরই বিনিয়োগের পথ, পরিমাণ এবং মেয়াদ বেছে নেওয়া দরকার।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
August 02, 2022 5:48 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Tips: গুণে শেষ করা যাবে না আপনার টাকা! জেনে নিন সহজে টাকা করার মোক্ষম কৌশল