গত কয়েক দিনে সোনার দাম অবশ্য কিছুটা পড়েছে। সোমবার ‘মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে’ সোনার দাম সকালে ৩০৪ টাকা কমে প্রতি দশ গ্রামের দাম হয়েছে ৫০,৯২৪ টাকা। দিল্লির সরোফা বাজারেও সোনার দামের পতন হয়েছে। সোমবার সরোফা বাজারে সোনার দাম ৩৬৫ টাকা কম হয়েছে প্রতি দশ গ্রামের (২৪ ক্যারেট) দাম এখন ৫১,৩৮৫ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: এ-বার থেকে বাড়িতে বসেই এসবিআই-তে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন গ্রাহকরা!
সোনা কেনার সঠিক সময় -
আমেরিকার (US) জিডিপি-র একটানা পতন হয়ে চলেছে। আমেরিকা-সহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই মূল্যবৃদ্ধি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং বেড়ে চলেছে মন্দা। একই সঙ্গে বিশ্বের আর্থিক বাজারে আবার দেখা দিয়েছে মন্দা। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেই তাইওয়ান (Taiwan) নিয়ে আমেরিকা এবং চিনের (China) ঝামেলা বেড়ে সৃষ্টি হয়েছে যুদ্ধের পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় ধীরে ধীরে এবং একটানা সোনা কেনা খুবই লাভজনক হতে পারে। এই সময় সোনা কেনা ছাড়াও সোনায় বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এক নজরে দেখে নিন সেই উপায়।
গোল্ড বন্ড (Gold Bond) -
গোল্ড বন্ড হল সোনায় বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার টাকা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকে। কারণ এর মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুরক্ষার গ্যারান্টি পাওয়া যায়। এই গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে প্রতি বছর ২.৫ শতাংশ সুদের সঙ্গে সোনার দাম বাড়ার সুবিধা পাওয়া যায়। এই ধরনের বিনিয়োগ পাঁচ বছরের জন্য করতে হয়।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমে ভারতের বাজারে আসতে চলেছে এক ঝাঁক নতুন গাড়ি!
গোল্ড ইটিএফ (Gold ETF) -
গোল্ড ইটিএফ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (Exchang Traded Fund) বিনিয়োগকারীদের সোনায় ছোট ছোট বিনিয়োগ করার সুবিধা দেয়। ইটিএফের মাধ্যমে সোনা ইউনিট আকারে কেনা যায়। যেখানে এক ইউনিটকে এক গ্রাম ধরা হয়। এর ফলে কম পরিমাণে অর্থাৎ সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে সোনা কেনা সুবিধাজনক হয়। গোল্ড ইটিএফের মাধ্যমে কেনা সোনার ওপর ৯৯.৫ শতাংশ শুদ্ধতার গ্যারান্টি পাওয়া যায়। এই ধরনের সোনা ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে থাকে অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় একে স্টক এক্সচেঞ্জে বিক্রি করা যায়।
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড -
বিনিয়োগকারীরা গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করতে পারে। ইকিউটি এবং বন্ডে যে ভাবে টাকা বিনিয়োগ করা হয়, এখানেও একই পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের টাকা বিনিয়োগ করা হয়। গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির (SIP) মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা ছোট পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ শুরু করতে পারে।