মাই মানি মন্ত্রা ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা এবং এমডি রাজ খোসলা বলছেন, ‘পে ল্যাটার কার্ডের ক্রেডিট সীমা ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় কম। পে লেটার কার্ডে ন্যূনতম ক্রেডিট সীমা ২ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লাখ পর্যন্ত দেওয়া হয়। সেখানে ক্রেডিট কার্ডের সীমা শুরুই হয় ২০ হাজার টাকা থেকে। গ্রাহকের ব্যবহার, উপার্জন, ঋণ শোধের সময় এবং ব্যায়ের ফ্রিকোয়েন্সির উপর সর্বোচ্চ সীমা ঠিক হয়’।
advertisement
সঙ্গে খোসলা যোগ করেছেন, ‘পে লেটার কার্ডের সুবিধা হল লেনদেনের পরিমাণকে তিনটি কিস্তিতে ভাগ করার সুবিধা দেয়। অন্য দিকে ক্রেডিট কার্ডে মাসিক কিস্তিতে টাকা শোধ করতে হয়’। তবে পে লেটার কার্ডে রিভলভিং ইন্টারেস্ট দিতে হয় না। অর্থাৎ গ্রাহক যদি আংশিক বিল পরিশোধ করেন, তাহলে নতুন কেনাকাটার উপর বাকি টাকার সুদ প্রযোজ্য হয় না। ক্রেডিট কার্ডে এই সুবিধা নেই।
এই অসুবিধার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পয়সা বাজার ডট কমের ক্রেডিট কার্ডের সহযোগী পরিচালক এবং প্রধান শচীন বাসুদেব। তিনি বলছেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের টাকা সময়মতো না-মেটালে, মোটা সুদ গুণতে হয়। যা বছরে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। থাকতে পারে অন্যান্য মাশুলও। ন্যূনতম পরিশোধের টাকা সময় মতো না দিলে দিতে হয় লেট ফি’।
আরও পড়ুন-‘কোম্পানির মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না... !’ জানালেন রূপঙ্কর
তবে এরপরেও ক্রেডিট কার্ডের সুযোগসুবিধা পে লেটার কার্ডের তুলনায় অনেক বেশি। সময় মতো বিল পরিশোধ করলে পে লেটার কার্ডে ১ শতাংশ ক্যাশব্যাক দেওয়া হয়। ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক তো মেলেই, সঙ্গে পাওয়া যায় রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট এবং এয়ার মাইলের মতো বেশ কিছু সুবিধা। খোসলা বলছেন, ‘সর্বাধিক সুবিধা পেতে গ্রাহক তাঁর ব্যায়ের ধরন অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড বেছে নিতে পারেন’।
তবে কোনওভাবেই ক্রেডিট বা পে লেটার কার্ডের সঙ্গে ডেবিট কার্ডের তুলনা করা যায় না। কারণ ডেবিট কার্ড গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা নগদেরই প্রতিরূপ। অন্যদিকে ক্রেডিট এবং পে লেটার কার্ড আদতে এক ধরনের ঋণ। যা সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে হবে। না হলে তার উপর সুদ চাপবে।