এই পরিবর্তনটা বুঝতে গেলে ফিক্সড ডিপোজিটের পার্থক্য জানতে হবে। ব্যাঙ্ক দু’ধরনের ফিক্সড ডিপোজিট অফার করে, কলেবল এবং নন-কলেবল। কলেবল ফিক্সড ডিপোজিটে গ্রাহক অকাল প্রত্যাহার করতে পারেন। কিন্তু নন-কলেবল ফিক্সড ডিপোজিটে এই বিকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না।
লিক্যুইডিটির কথা উঠলে অকাল প্রত্যাহারের সুবিধা আছে, এমন ফিক্সড ডিপোজিট থেকেই বিনিয়োগকারীরা ম্যাচিউরিটির আগে টাকা তুলে নিতে পারেন। সোজা কথায় বলতে গেলে, নগদ সঙ্কটে টাকা তোলার সুবিধা এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বারবার কি লকার সংক্রান্ত মেসেজ কিংবা কল আসছে? সাবধান! এখানেও কিন্তু ফাঁদ পেতেছে অনলাইন প্রতারকরা
পুরনো নিয়ম:
আগে ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ১৫ লক্ষের বেশি না হলে বিনিয়োগকারী মেয়াদ শেষের আগেই এফডি ভাঙাতে পারতেন। এটাই ছিল নিয়ম। এটাকেই বলা হয় ‘অকাল প্রত্যাহার’। এই সুবিধা পাওয়া যাবে জেনেই অনেকে ফিক্সড ডিপোজিট করতেন। যাইহোক, আমানতের পরিমাণ ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে এই সুবিধা পাওয়া যেত না।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে এই চার নিয়ম, আগে থেকে না জানলে জরিমানা দিতে হবে
নতুন নিয়ম:
এই নিয়ম বদল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সিলিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এখন থেকে বিনিয়োগকারী ১ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটে অকাল প্রত্যাহারের সুবিধা নিতে পারবেন। এই সুবিধা যে শুধু ডোমেস্টিক ফিক্সড ডিপোজিটেই পাওয়া যাবে তা নয়, নন রেসিডেন্ট, এনআরই এবং এনআরও ডিপোজিটেও এই সুবিধা মিলবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংশোধিত নির্দেশিকা সমস্ত বাণিজ্যিক এবং সমবায় ব্যাঙ্কে কার্যকর হয়েছে।
তাৎপর্য:
এই সংশোধনী যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে, বিশেষ করে যে সব বিনিয়োগকারীরা মোটা টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন। এর ফলে আর্থিক সংস্থানের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সময়ের আগে টাকা তুলে নেওয়ার ক্ষমতা এক ধরনের সুরক্ষা, বিশেষ করে আর্থিক প্রয়োজনের সময়। যাঁদের আমানত ১ কোটি টাকার বেশি নয়, তাঁরা এটা ভেবে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন যে, আর্থিক প্রয়োজনে সহজেই তহবিলের অ্যাক্সেস পাওয়া যাবে।