ব্যাঙ্কের জমার উপর কোনও সীমা নেই:
সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার সর্বোচ্চ সীমার ক্ষেত্রে কোনও সীমা বা লিমিট নির্ধারণ করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। যার জেরে কোনও গ্রাহক নিজের সেভিংস অ্যাকাউন্টে যতটা ইচ্ছা, ততটা টাকা রাখতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ ভাবে একজন গ্রাহকের ইচ্ছা এবং ব্যাঙ্কের পলিসির উপর নির্ভর করে।
advertisement
আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ায় বড় সুখবর ! অনেকটাই কমল সোনার দাম
বড় ব্যালেন্স, কোনও ঝঞ্ঝাট নেই:
সেভিংস অ্যাকাউন্টে সাধারণত বেশি পরিমাণ টাকা না রাখারই পরামর্শ দিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক। দীর্ঘ সময় ধরে যদি ওই অ্যামাউন্ট সেভিংসে পড়ে থাকে, কোনও লেনদেন না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে নিষেধ করেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষই।
এই ট্যাক্স সংক্রান্ত নিয়ম জানা আছে কি?
যদি একজন গ্রাহক একটি আর্থিক বছরে (FY) ১০ লক্ষ বা তার বেশি নগদ টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করে থাকেন, তাহলে ব্যাঙ্ক সেই তথ্য আয়কর বিভাগকে জানায়।
সুদের এই নিয়মও জেনে রাখা উচিত:
যদি গ্রাহকের সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের পরিমাণ বছরে ১০,০০০ টাকার বেশি হয়, তাহলে এটি করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং গ্রাহককে এর উপর কর দিতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতিতে ট্যারিফ যুদ্ধের ঢেউ, বিনিয়োগকারীদের চোখে সোনা এখন সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়
প্রবীণ নাগরিক বা সিনিয়র সিটিজেনদের স্বস্তি:
সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে অর্জিত সুদের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিক বা সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য করের সীমা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
গ্রাহক কি ট্যাক্স নোটিস পেতে পারেন?
যদি গ্রাহকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা থাকে এবং সেটার যদি তাঁর ইনকাম প্রোফাইলের সঙ্গে সঙ্গতি না থাকে, তাহলে আয়কর বিভাগ সেই গ্রাহকের কাছ থেকে স্পষ্ট জবাব চাইতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকের কাছে টাকার সঠিক উৎস এবং নথি থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
বেশি পরিমাণ টাকা রাখার অসুবিধা:
সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ খুবই সীমিত (সাধারণত ২.৫% থেকে ৪%)। অন্য দিকে ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডি অথবা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিকল্পগুলি উচ্চতর রিটার্ন দিতে পারে। সেই কারণে সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা রাখলে গ্রাহকের মূলধনের উপর সুদ কম পড়বে।