ট্যান কার্ড -
ট্যানের পুরো নাম হল ট্যাক্স ডিডাকশন অ্যান্ড কালেকশন অ্যাকাউন্ট নম্বর (Tax Deduction and Collection Account Number)। এই ট্যান কার্ড আয়কর বিভাগ দ্বারা জারি করা হয়। আসলে যাঁরা ট্যাক্স দেন অর্থাৎ করদাতাদের জন্য এই ট্যান কার্ড জরুরি নয়। যাঁরা ট্যাক্স কালেক্ট করেন, তাঁদের জন্য এই ট্যান কার্ড অনিবার্য। ধরা যাক কেউ অন্য কারও জন্য কোনও কাজ করেন। সেই কাজের জন্য তিনি টাকা পায়। তিনি যাঁর জন্য কাজ করেন, সেই ব্যক্তি টাকা দেওয়ার সময় সেই টাকার থেকে টিডিএস কেটে নেন। এখানে যিনি টিডিএস (TDS) কাটছেন, তাঁকে সময়মতো তা ট্যাক্স হিসেবে জমা দিতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ডিজিটালাইজেশন শুরু করেছে সরকার! সস্তায় ঋণ পাবেন কৃষকরা!
এর জন্য এই ধরনের লোকেদের ট্যান কার্ড বানাতে হয়। অর্থাৎ কেউ যদি কোনও কোম্পানির মালিক হন এবং সেই কোম্পানিতে কয়েকজন কর্মী কাজ করেন, তাহলে সেই মালিকের তাঁদের বেতন দিতে হয়। এর জন্য সেই মালিকের ট্যান নম্বর গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: উঠে গিয়েছে বিমান ভাড়ার উর্ধ্বসীমা! এখন কে কত ভাড়া কমাতে পারে
প্যানের থেকে আলাদা -
ট্যান কার্ড সেই সকল লোকেদের জন্য যাঁরা ট্যাক্স কাটেন। অন্য দিকে, প্যান কার্ড সেই সকল লোকেদের জন্য যাঁরা ট্যাক্স জমা দেন। টিডিএসের সঙ্গে জড়িত সমস্ত কাগজে ট্যান নম্বর জরুরি। প্যান কার্ড ১০ অঙ্কের নম্বরের হয় যা চাকরিজীবীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্যান কার্ডের মাধ্যমে সরকার বড় লেনদেনের উপরে নজর রাখে।
ট্যান কার্ডের জন্য অ্যাপ্লাই -
ট্যান কার্ড পাওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করতে হয়। ট্যান কার্ড তৈরি করার জন্য ফর্ম ৪৯বি-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই ট্যান কার্ডের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। ট্যান কার্ড তৈরি করার জন্য ৬২ টাকা জমা দিতে হয়। অনলাইনে ট্যান কার্ডের আবেদন করার জন্য এনএসডিএল-এর (NDSL) আধিকারিক ওয়েবসাইটে যেতে হবে।