আরও পড়ুন: করোনা আবহে প্রথমবার জীবন বিমা কিনবেন? এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতেই হবে!
কীভাবে? অনেকেই মাসে যে খরচের বিল আসে, তার ন্যূনতম অর্থ শোধ করেন। এতেই সমস্যা হয়। শুধু ন্যূনতম অঙ্ক মিটিয়ে দিলে জরিমানা বা লেট-ফি দিতে হবে না ঠিকই, কিন্তু বাকি টাকার উপর চড়া হারে সুদ গুনতে হবে। ফলে ঋণের অঙ্ক মোটা হলে, নতুন করে আর কিছু না-কেনা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন তার বোঝা ঘাড়ে চেপে থাকার সম্ভাবনা। ধরা যাক, কোনও মাসে ৫০ হাজার টাকার জিনিস কেনা হল। বিলে দেখা গেল, ‘মিনিমাম অ্যামাউন্ট ডিউ’ হিসেবে দিতে হবে তার মাত্র ৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৫০০ টাকা। গ্রাহক হয়তো ওই ন্যূনতম অঙ্ক মিটিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হলেন। বাকি বকেয়া টাকার উপর চড়া হারে সুদ বসতে থাকল। সে ক্ষেত্রে সুদে-আসলে যে অর্থ শেষ পর্যন্ত শোধ করতে হবে, তার অঙ্ক বিপুল।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো পেট্রোল-ডিজেল গাড়িকে কম খরচে ইলেকট্রিক কার বানাতে চান? জানুন বিস্তারিত!
৪৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হতে পারে
এক্ষেত্রে যেটা হয় তা হল, গ্রাহক যদি ন্যূনতম অর্থ পরিশোধ করেন তাহলে বকেয়া টাকার উপর ২ থেকে ৪ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। এই সুদের হার বার্ষিক ভিত্তিতে ২৪ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যা সব ধরনের ঋণের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, ব্যক্তিগত ঋণে গ্রাহককে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। গৃহঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ৭ থেকে ৯ শতাংশ। অটো লোনে দিতে ৮ থেকে ১২ শতাংশ সুদ। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড গ্রাহককে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হয়, যা অনেকে জানেনই না।
এখানেই শেষ নয়। দ্বিতীয় অসুবিধা হল, যদি কার্ডে বকেয়া ব্যালেন্স থাকে তখন পরবর্তী ক্রয়ের সুদ-মুক্ত মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে যায়। প্রথম দিন থেকেই কেনাকাটার উপর চড়া হারে সুদ চাপতে থাকে। ফলে মাসের শেষে মোটা অঙ্কের টাকা শুধু সুদ দিতেই বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আয়কর ফাইলে কম রিফান্ড পেয়েছেন? জেনে কীভাবে পাবেন সম্পূর্ণ টাকা!
তাই সময় মতো বিল শোধ করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বকেয়া থাকলে বেশিরভাগ কোম্পানিই ইমেল বা এসএমএস করে তাগাদা দেয়। এসব উপেক্ষা না করে সময়ে বিল পরিশোধ করলেই বাড়তি সুদের টাকা গুণতে হবে না। দিতে হবে না জরিমানাও। পরের মাসের কেনাকাটার উপরেও সুদ চাপবে না। তাছাড়া সময়ে বিল শোধ না করলে ক্রেডিট স্কোর এবং ক্রেডিট হিস্টরিও খারাপ হয়। ভবিষ্যতে কোনও ধরনের ঋণ বা অন্য ক্রেডিট কার্ড পেতে সমস্যা হতে পারে।