অন্ধ্রপ্রদেশকে পিছনে ফেলে বাংলাই থাকবে পশু পালন, দুধ ডিম উৎপাদনে দেশের এক নম্বরে। এমনটাই দাবি রাজ্যের প্রাণি সম্পদ মন্ত্রীর। বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার প্রাণিসম্পদ দফতরের রিভিউ মিটিংয়ে জানান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। রিভিউ মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না হুগলি জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়া-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ার যুবক খুনে গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত, উত্তরাখণ্ড থেকে পুলিশের জালে
advertisement
গত ১০ বছরে ১১৫ শতাংশ ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বছরে ১ হাজার ২০৩ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। আগামী বছরের লক্ষ ১ হাজার ৪৪০ কোটি ডিম উৎপাদন। ২৩৭ কোটি ডিম ২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদন করা সম্ভব করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। ফল স্বরূপ বাইরের রাজ্যের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমবে। ঠিক তেমনি উৎপন্ন খাদ্য দ্রব্য বাইরের বাজারে রফতানি করে রাজ্যের আয়ও বাড়বে।
প্রাণি সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আগামী বছরের মধ্যে রাজ্যের প্রয়োজন মিটিয়ে ডিম রপ্তানিও করা যাবে অন্য রাজ্যের বাজারে। তিনি আরও জানান, দুধের উৎপাদন বাড়াতে বাড়ানো হয়েছে দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ইনসেনটিভ। আগে যা ছিল ২ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা।পশু পালন,মাংস ও ডিম উৎপাদন যেমন বেড়েছে তেমনি দুধের উৎপাদনও বেড়েছে। কলকাতা সল্টলেকে যেমন ক্যাভিয়ার রয়েছে তেমনি জেলা সদরে পশুপালন দফতর ক্যাভিয়ার (রেস্টুরেন্ট) তৈরির ভাবনা শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। বেড়েছে হরিনঘাটা মিটের চাহিদা।
২০১০ থেকে ২০১১ সালে ৬ টি স্টল ছিল হরিণঘাটা মিটের। ২০২০০ থেকে ২০২১সালে তার সংখ্যা ৬৫০ হয়েছে। এই সময় কালে বাণিজ্যিক ভাবে টার্নওভার বেড়েছে অনেকটাই। বাংলা যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামী বছরের মধ্যে বাংলাই থাকবে প্রথমে।
রাহী হালদার