সমবায় সমিতিগুলি পুনর্জীবিত করতে বিগত কয়েক বছরে প্রশাসনের তরফ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এই ধরনের সমবায় সমিতি গড়ে তুলছেন। সেখানে সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার বহু উপকার পাচ্ছেন গ্রামীন এলাকার মানুষজন। সেখানে মানুষ যেমন নিজেদের সম্পদ গচ্ছিত রাখতে পারছেন, আবার সেই সম্পদ কেউ প্রয়োজনের সময় ঋণ হিসেবে নিতে পারছেন।
advertisement
এছাড়াও স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে দিশা দেখাচ্ছে সমবায় সমিতিগুলি। কারণ এই সমবায় সমিতি থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে অনেকের ঋণ নিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করছেন। সেই ব্যবসা শুরুর ফলে অনেকে স্বনির্ভর হচ্ছেন। আবার সেখান থেকে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে মাল্টি ফাংশন সমবায় সমিতি গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ বাড়ছে। সব মিলিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সেগুলি।
এই সমবায় সমিতির একাধিক সুবিধা রয়েছে। এখান থেকে খুব অল্প সুদে যেমন ঋণ পাওয়া যায়। মাল্টি ফাংশন সমবায় সমিতি থেকে ঋণ পাওয়া যায় বিভিন্ন কারণে। ঋণ পাওয়া যায় সহজে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থান সচল রাখতে এগুলি সাহায্য করে। সমবায় সমিতির ব্যবহারে গ্রামীণ অর্থনীতি আগের তুলনায় আরও বেশি সচল হয়েছে। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে রাজ্য পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের আবেদন, এক্ষেত্রে গ্রাহকদের আরও সচেতন হতে হবে। তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। তারা যেমন সহজে ঋণ পাবেন, সেই ঋণ ফিরিয়ে দিতে হবে সময়। তবেই এর কার্যকারিতা বাড়বে।
নয়ন ঘোষ