পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ওই বর্জ্য সংগ্রহ করাই এলাকার প্লাস্টিক দূষণও কমেছে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৫ অর্থ বর্ষে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত থেকে বাড়িতে বাড়িতে ভ্যানে করে পচনশীল বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করা শুরু হয়। পাশাপাশি শুরু হয় ওই বর্জ্য পদার্থের মধ্যে পচনশীল বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে সার তৈরির জন্য ব্যবহার করার কাজ। এক বিশেষ প্রজাতির কেঁচো ব্যবহার করে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় জৈব সার।প্রথমে পচনশীল বর্জ্য একত্রিত করে কিছুটা পচানো হয়। এরপর বিশেষ পদ্ধতিতে বর্জ্য থেকে জল নিষ্কাশন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টন টন মাটি! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি জয়চণ্ডীতে
তারপর বেড তৈরি করে সেখানে সেই বর্জ্য পদার্থ ছড়িয়ে কেঁচো ছেড়ে তার ওপর গোবর দেওয়া হয়। এক মাসের মধ্যেই কেঁচো সেইসব খেয়ে পাচনক্রিয়ার মাধ্যমে ভার্মি তৈরি করে। এছাড়াও ওই প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কঠিন বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ নিষ্কাশন প্রকল্পের মাধ্যমে মিলছে একাধিক কর্মসংস্থানও। প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বড়গড়িয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে ওই কঠিন বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ নিষ্কাশন প্রকল্প। মিশন ‘নির্মল পঞ্চায়েত’ গড়ে তুলতে প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়গড়িয়া, খাটগড়িয়া, কাঁটাবেরিয়া-সহ আশপাশের গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে সবজির খোসা, ব্যবহৃত খাবার-সহ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলি সংগ্রহ করে ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয়। একাধিক প্রক্রিয়াকরণে উৎপন্ন এই জৈব সারের বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে চাষাবাদে বলে দাবি পঞ্চায়েতের। সেই জৈব সার ব্যবহার করে পঞ্চায়েতের উদ্যানে ফলেছে সবজি, রকমারি ফল। সেই সবজি সরকারি ভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পৌঁছে যাচ্ছে।





