উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, কর্ণাটক, আসাম এবং মধ্যপ্রদেশ হল প্রধান আলু উৎপাদনকারী রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, মালদহ ও পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আলুর চাষ ব্যাপক হারে হয়। কিন্তু শিল্পাঞ্চলে উর্বর ও চাষযোগ্য জমির অভাব হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাষাবাদ কম। তারই মধ্যে কাঁকসা ব্লকের চাষিরা আলু চাষ করে নজির গড়েছেন। চাষিরা জমিকে আড়াআড়িভাবে কমপক্ষে চারবার চাষ দিয়ে ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে নেন প্রথম পর্যায়ে। যাতে বড় কোনও মাটির ঢেলা না থাকে। একাধিক প্রক্রিয়াকরণের পরে আলু বীজ জমিতে বপন করা হয়। ওই এলাকায় প্রায় ৩০ বছর ধরে আলু চাষ করে আসছেন চাষিরা।
advertisement
প্রথম দিকে ফলন খুব একটা ভাল হত না বলে দাবি তাঁদের। বর্তমানে ব্যাপক ফলন হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। আলু বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য ফসল। এটি একটি অর্থনৈতিক ফসল এবং এটিকে দরিদ্র মানুষের বন্ধু হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।পোখরাজ আলু সবজি হিসাবে প্রধান খাদ্য তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও বিরিয়ানি ও চিপস তৈরি করার জন্য এই আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হিমঘর বন্ধ হওয়ার পর যখন জ্যোতি আলুর সরবরাহ কমে যায়, তখন পোখরাজ আলু বাজারের চাহিদা পূরণ করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চাষিদের দাবি, এই আলু চাষ করতে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়।এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ কুইন্টাল আলু উৎপাদন হয়। আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। যার কারণে কাঁকসা ব্লকের চাষিরা শীতকালীন সবজির চেয়ে বেশি আলু চাষের দিকেই ঝুঁকছেন।





