ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগকারী, পলিসিমেকার এবং ইনস্টিটিউশনাল পার্টনারদের কাজে অনেকটাই সুবিধা করে দিল ওয়াজিরএক্স ৷ এই রিপোর্টের মাধ্যমে রেগুলেটারদের পলিসি স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতেও সুবিধা করবে ৷ এ ছাড়া এই ধরণের পদক্ষেপ ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে স্বচ্ছতাও আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷
বিভিন্ন এজেন্সি থেকে পাওয়া সব আইনি প্রক্রিয়াগুলিকে রিভিউয়ের পরেই এই ক্রিপ্টো কারেন্সি রিপোর্ট বাজারে লঞ্চ করেছে WazirX ৷ এপ্রিল ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৪ হাজার অ্যাকাউন্ট লক করেছে ওয়াজিরএক্স ৷ Cryptocurrency Exchange-র প্রথম ট্রান্সপ্যারেন্সি রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷
advertisement
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক রকমের ডিজিটাল কারেন্সি। এই কারেন্সি কোনও সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন বা সরবরাহ করে না। বিভিন্ন জটিল সব অ্যালগোরিদম, ব্লক এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি অনুসরণ করেই একেকটি কয়েন বানাতে হয়। আপনি এটিকে নিজের সম্পত্তি হিসাবেই ব্যবহার করতে পারেন, তবে এর জন্য কোনও ব্যাঙ্ক বা ATM নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইন শপিংয়ে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি দেশের নিজস্ব কারেন্সি যেমন টাকা, রুপি, ইউরো, ডলার, পাউন্ড ইত্যাদি রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত, কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি এদের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা।
টাকা, রুপি, ইউরো, ডলার, পাউন্ড ইত্যাদির উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রন সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক করে থাকে। এমনকি এই মুদ্রার সরবরাহও ইচ্ছে মতো বাড়ানো কমানো যায়। কিন্তু প্রতিটি ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কয়েনের বেশি জেনারেট করা যায় না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন (Bitcoin) এবং এর সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিপ্টোকারেন্সির নামটি প্রকাশ্যে আসে। বিটকয়েনটি জাপানের একজন ইঞ্জিনিয়ার সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) তৈরি করেছিলেন। বিশ্ব জুড়ে বর্তমানে ১,০০০টিরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কী ভাবে কাজ করে?
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইনের (Blockchain) মাধ্যমে কাজ করে, অর্থাৎ লেনদেনের রেকর্ড এটিতে রাখা হয়। শক্তিশালী কম্পিউটারগুলি এটি পর্যবেক্ষণ করে, একে বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং (Cryto Mining)। এই পরিস্থিতিতে এটি হ্যাক করা খুব কঠিন। ব্লকচেইনের কারণে, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনগুলি খুব নির্ভরযোগ্য এবং কোনও তৃতীয় পক্ষ যেমন ব্যাঙ্ক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির প্রয়োজন হয় না। এর এনক্রিপটেড লেজার সব লেনদেনকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং মানে ক্রিপটো এক্সচেঞ্জে এর কেনা বেচা হয়। এখানে Binance, coinbase, WazirX, Coinone, crypto.com-সহ আরও অনেকগুলি বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ রয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে টেসলা সংস্থার কর্ণধার ইলন মাস্ক বিটকয়েনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারদর। প্রসঙ্গত, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে। তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়।
গত জানুয়ারি মাসে টেসলা সংস্থার কর্ণধার ইলন মাস্ক বিটকয়েনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারদর। প্রসঙ্গত, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে। তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়।