তবে বরাবরই সঞ্জয়ের পানের দোকান ছিল না। করোনার সময় তাঁর ক্যাটারিং ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি নতুন কিছু নিয়ে ব্যবসা করার কথা ভাবছিলেন। তারপরেই তার মাথায় আসে সোনার পান বানানোর কথা।
এই শাহি সোনার পান তৈরি করতে সময় লাগে আধ ঘণ্টা। এটি ২৪ ক্যারাট সোনার একটি স্তর দিয়ে আবৃত। সোনা-রুপো এবং জাফরানের সমন্বয়ে এই পানের স্বাদও না কি অনন্য। এই বিশেষ পানটির ৯৯৯ টাকা।
advertisement
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের আশিয়ানা চৌরাস্তায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় পান দরবারে পানপ্রেমীরা এই বিশেষ পানটির খোঁজ পাবেন। দোকানের মালিক সঞ্জয় জানিয়েছেন যে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে তিনি দোকান শুরু করেন। কিছুদিন পর থেকেই এখানে তাঁর দোকানের পানের চর্চা বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন- ১০ হাজার টাকার মাসিক SIP-তে ৪.৮৭ কোটি টাকা! গ্রাহককে মালামাল করে দিয়েছে এই মিউচুয়াল ফান্ড!
স্থানীয়রা সহ অন্যান্য শহরের মানুষরাও এর স্বাদ পছন্দ করতে শুরু করেছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আনন্দের সঙ্গে এই পান খাচ্ছেন। মহিলা এবং মেয়েদের কাছেও এই পানের কদর রয়েছে।
এখানে পানের জন্য বিশেষ ক্যানও প্রস্তুত করা হয়। ১০ বছর বয়সী খুদে যুবরাজ সিং এখানকার এক গ্রাহক, তিনি এখানকার চকোলেট পান খুব পছন্দ করেন। অন্য আরেক কাস্টমার কামরান জানান, তাঁর মা ও বোন এখানকার সমস্ত স্বাদের পানই খেয়ে দেখেছেন। যদিও তাঁর খাস পছন্দ নবরত্ন পান।
আরও পড়ুন-স্টেটাস চেক করা এখন আরও সহজ, দেখে নিন ই-ফাইলিং পোর্টালে কয়েক ক্লিকে এভাবে!
কী কী স্বাদের পান রয়েছে দোকানে?
চকোলেট পান, নবরত্ন পান, মোদক পান, মিষ্টি পান, রয়্যাল পান, মালাই পান, লাল চেরি পান, হায়দরাবাদি পান, গুলাব পান, মতিচুর চকনাচুর পান, সুলতানি পান, জন্নত পান, কুলফি পান, আইসক্রিম পান, ব্ল্যাক ফরেস্ট পান, চকোবেরি পান, বাদামি পান, ক্রাঞ্চি পান, ফ্রুটি পান, পিস্তাচিও পান, কোহিনূর পান, হানি নাটস পান, ড্রাই ফ্রুট পান, আঞ্জির পিস্তা পান এবং ব্লুবেরি পান সহ আরও অনেক স্বাদবাহার। সঞ্জয় কুমার জানান, তিনি তাঁর দোকানে কোনও ধরনের নেশাধরানো মশলা রাখেন না। তাঁর পানে শুধুমাত্র সোনা-রুপো, জাফরান এবং কিছু শুকনো ফল মেশানো থাকে। এগুলো মিশিয়েই তিনি পানের মশলা বানান।