আইটিসি হোটেলস, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, সান ফার্মা, আলট্রাটেক সিমেন্ট এবং এনটিপিসি শেয়ার সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে। অন্য দিকে, পিছিয়ে ছিল টাইটান, কোটক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, নেসলে, এশিয়ান পেন্টস, এইচসিএল টেক এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার।
আরও পড়ুন: Union Budget 2025: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন? একলাফে বাড়ছে ৭৫,০০০ MBBS সিট, বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার
advertisement
প্রাক-বাজেট পেশ করা ইকোনমিক সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের অর্থনীতি ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু উন্নত দেশের অর্থনীতির তুলনায় এই হার অনেক কম। শুক্রবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও সংসদে বলেছিলেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি স্লথ হয়ে পড়েছে। উন্নত ভারত গড়তে আরও অনেক কাজ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০২১ সালে বাজেটের দিন ২১ শতাংশ উত্থান হয়েছিল শেয়ার বাজারে। ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই পেশ করা বাজেটে ক্যাপিটান গেইন ট্যাক্স বৃদ্ধির পর বিএসই সেনসেক্স ১২০০ পয়েন্ট এবং এনএসই ইনডেক্স ৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
শেয়ার বাজারের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে বাজেটের দিন বিএসই সেনসেক্স ৯৮৮ পয়েন্ট কমে ২.৪৩ শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছিল আর এনএসই নিফটি কমেছিল ৩০০ পয়েন্ট। ২০১৯ সালে বিএসই সেনসেক্স ২১২ পয়েন্ট বাড়ে অর্থাৎ ০.৫৯ শতাংশ ওঠে, আর এনএসই নিফটি ৬২.৭ পয়েন্ট।
২০১৮ সালে সেনসেক্স ৮৩৯ পয়েন্ট কমে ০.১৬ শতাংশ পড়ে যায়। আর নিফটি পড়ে ২৫৬ পয়েন্ট। ২০১৭ সালে সেনসেক্স ৪৮৬ পয়েন্ট বাড়ে আর নিফটি ১৫৫ পয়েন্ট। ২০১৬ সালে সেনসেক্স ১৫২ পয়েন্ট নেমে ০.৬৬ শতাংশ পতন হয় আর নিফটি ৪২.৭ পয়েন্ট কমে।
শনিবার সাধারণত শেয়ার বাজার বন্ধ থাকে। তবে এবার বাজেটের কারণেই বাজার খোলা রয়েছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-এর পাশাপাশি মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (এমসিএক্স)-ও চালু রয়েছে অন্যান্য দিনের মতোই।
এনএসই-র পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯:১৫ মিনিট থেলে দুপুর ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত শেয়ার বাজার খোলা থাকবে। এর আগেও যখন শনিবার বাজেট পেশ হয়েছে, তখনও স্টক মার্কেট খুলেছিল।
এর আগে ২০১৫ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের দিনও শনিবার ছিল। শেয়ার বাজারও খোলা ছিল। আবার ২০২০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাজেট পেশ করা হয়েছিল। ১২ বছরে এটি তৃতীয় শনিবার ফের ইউনিয়ন বাজেট পেশ করা হচ্ছে।