CNBC Aawaz রিপোর্টে দাবি করেছে যে সরকার আয়কর আইনের ধারা 80EEB এর অধীনে আয়কর ছাড় আরও দুই বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে। ১লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই হবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট।
সরকার ২০১৯ সালে ইলেকট্রিক গাড়ির কেনার উপর আয়কর ছাড় ঘোষণা করেছিল। এর ফলে একটি ইলেকট্রিক গাড়ির কেনার জন্য নেওয়া ঋণের সুদের উপর এক আর্থিক বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া যায়। এই ছাড় চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এখন অনুমান করা হচ্ছে, বাজেটে সরকার এই ছাড় ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই মেয়াদ বাড়িয়ে দেবে। মোট ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এই ছাড় পাওয়া যায়।
advertisement
বাজারে এই মুহূর্তে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম অনেক বেশি। এ কারণে অনেকেই এটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এটাকে সাশ্রয়ী করতে সরকার বাজেটে বড় কিছু ঘোষণা করতে পারে। এই মুহূর্তে এই গাড়িগুলির ব্যাটারির দাম অনেক বেশি। এর জেরে ইলেকট্রিক গাড়ির খরচও অনেক বেড়ে যায়। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে সরকারকে এর পরিকাঠামো তৈরিতেও মনোযোগ দিতে পারে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিকারী সংস্থাগুলি FAME II ভর্তুকির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছে। এতে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করবে। ইন্ডাস্ট্রি আরও বলেছে যে অ্যাডভান্স কেমিস্ট্রি সেল উপর জিএসটি কমিয়ে ৫% করা উচিত। বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়িতে জিএসটি ৫%।
আরও পড়ুন, কলকাতার তাপমাত্রা আরও একটু বাড়ল, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
আরও পড়ুন, যা রটেছিল, তা ঘটল না! প্রণবপুত্র নন, সাগরদিঘিতে দেবাশিসই তৃণমূলের ভরসা
গত বছর নভেম্বর মাসে দেশে মোট ১৮,৪৭,২০৮ টি দ্বি-চাকার গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা ৭৬,৪৩৮টি। এটি প্রায় ৪ শতাংশ। অন্যান্য কোম্পানিগুলোও ইলেকট্রিক গাড়ির ভাল বিক্রির আশা প্রকাশ করেছে। তবে এর জন্য সরকারের কিছু সাহায্যে প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাগুলি।