বাজেট শেষের সময় থেকেই অস্থিরতা শুরু হয় শেয়ার বাজারে। ১২০০ পয়েন্টের কাছাকাছি লাভ করার পর সেনসেক্স উপরি স্তর ভেঙে ১০৬১ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। নিফটি ১৭,৬০০-র কাছাকাছি চলে এসেছে।
তামাক কোম্পানিগুলোর স্টকে ধ্বস নেমেছে। আসলে বাজেটে সিগারেটের উপর ১৬ শতাংশ হারে সেস চাপিয়েছেন নির্মলা। ফলে আগামী দিনে সিগারেটের দাম বাড়বে। এই ঘোষণার পরেই তামাক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পড়তে শুরু করে। গডফ্রে ফিলিপসের শেয়ার ৪.৯২ শতাংশ কমে ১,৮২৮.৭৫ টাকা হয়েছে। গোল্ডেন টোব্যাকো বিএসইতে ৩.৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৪ টাকায়। আইটিসি-র শেয়ারেরও একই অবস্থা। ০.৭৮ শতাংশ কমে দাম হয়েছে ৩৪৯ টাকা। এনটিসি ইন্ডাস্ট্রিজ ১.৪ শতাংশ এবং ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজ ০.৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত ছাড়া বীরভূম সামলাবে কে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! কেঁপে গেল বাংলা
আজকের ব্যবসায় বেশিরভাগ খাতে বেচাকেনা হয়েছে। তবে আইটি স্টক ও এফএমসিজি শেয়ারে কেনাকাটা দেখা গিয়েছে। এফএমসিজি এবং আইটি সূচক নিফটিতে ১ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সূচক লাল চিহ্নে বন্ধ হয়েছে। অন্য দিকে, ধাতব সূচক কমেছে ৪.৫০ শতাংশ। অটো, ফার্মা এবং রিয়েলটি সূচকগুলিও লাল রঙে বন্ধ হয়েছে।
অন্য দিকে, বাজেটের সময়, ভারতীয় হোটেলের স্টক ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গুজরাত গ্যাসের স্টক বেড়েছে ৬ শতাংশ। ডিকশন টেকনোলজির শেয়ারও উর্ধ্বমুখী। ৫ শতাংশের লাফ দিয়েছে। চোলা ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারও বেড়েছে ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করে সোনাঝুরির চায়ের দোকানে মুখ্যমন্ত্রী, চা বানিয়ে খাওয়ালেন সকলকে! দেখুন
তবে বাজেটের সময় আদানি স্টক কমেছে। আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং আদানি পাওয়ার, দুটোই ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এসিসি-র শেয়ার কমেছে ৪ শতাংশ। আদানি ট্রান্সপোর্টের এবং আদানি পোর্টের শেয়ার পড়েছে যথাক্রমে ৫ এবং ৩ শতাংশ। আদানি গ্রিনের শেয়ারও রক্ষা পায়নি। ৩ শতাংশের বেশি কমেছে। বলে রাখা ভাল, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। তারপর থেকেই শেয়ার বাজারে পতন শুরু হয়। ব্যাপক ধাক্কা খায় আদানি গোষ্ঠী।