অর্থনীতিবিদদের মতে ভারত সরকার দেরি করে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করলেও, তার ফিসক্যাল রেট খুবই সীমিত। যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিসক্যাল সাপোর্ট পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে, তখন ভারত এই বিষয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয়। এর কারণ হল ভারতের কাছে রোলব্যাক করার নির্দিষ্ট কিছু নেই। এর জন্য ভারত এই স্ট্রাকচারাল রিফর্মকে ভালো উপায়ে ব্যবহার করতে পেরেছে। এর ফলে আগামী বছরগুলোতে ভারতের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - West Bengal Weather Update: হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে বাংলা, কাল থেকে আবহাওয়ায় ভোলবদল
আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ
করোনা মহামারীর জন্য এমার্জেন্সি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের বাজেট ছিল ৩ লাখ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরেকটি ১ লাখ কোটি টাকার এগ্রিকালচার ইনফ্রা ফান্ড তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে কম সুদে বেশি সময়ের জন্য লোণের সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও ৯০০ আরব ডলারের একটি লিক্যুইডিটি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সকল ঘোষণার জন্য ফিসক্যালের বোঝা বেশি বাড়েনি, যা জিডিপির ১.৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩.৪ লাখ কোটি টাকা ছিল।
আরও পড়ুন - Panchang 18 January: পঞ্জিকা ১৮ জানুয়ারি: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়
কেন্দ্রীয় সরকার যখন আর্থিক বর্ষ ২১-এর বাজেট তৈরি করে, তখন মোট বাজেট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩০.৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু আর্থিক বর্ষ ২১-এ মোট খরচ হয় ৩৪.৫ লাখ কোটি টাকা। আর্থিক বর্ষ ২২-এর বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৩৪.৮ লাখ কোটি টাকা। সেই বছর ২ লাখ কোটি টাকার কোভিড সাহায্য দেওয়া হয়েছিল।
রেভেনিউ ব্রেকডাউন
আর্থিক বর্ষ ২১-এ নেট রেভেনিউ কমে ৬.৪ লাখ কোটি টাকা হয়ে যায়, যা বাজেটের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম। আর্থিক বর্ষ ২২-এর শুরুটা বেশ ভালো হয়েছে, এপ্রিল-অক্টোবর মাসের মধ্যে ১৩.৬ লাখ কোটি টাকার ট্যাক্স কালেকশন করা হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমান, আর্থিক বর্ষ ২২-এ ট্যাক্স ২২.১ লাখ কোটি টাকার বাজেট অনুমানের বেশি হতে পারে।