জেএম ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনাল সিকিউরিটিজ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট ধনঞ্জয় সিনহা জানিয়েছেন, “কর নিরপেক্ষ GST-এর ফলে ট্যাক্সের দর কী বাড়বে এবং বিভিন্ন সেক্টরে তার কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আমরা আগ্রহী। এছাড়াও, পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর আবগারি শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনাও রয়েছে।”
আরও পড়ুন: বিমায় বিনিয়োগে আগ্রহী? এই বিকল্পগুলিতে লগ্নি করলে দিতে হবে না কোনও ট্যাক্স!
advertisement
তিনি আরও বলেন, করোনা অতিমারীর ধাক্কার পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং মার্কেটকে সচল রাখতে ফিসকাল ম্যানেজম্যান্টের জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা পেশ করা হতে পারে এই বাজেটে।
ভেঞ্চার সিকিউরিটিজ-এর রিসার্চ প্রধান বিনীত বলিঞ্জকার মনে করেন, শ্রমজীবী শ্রেণীর জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম (WFH) ভাতা এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে সংশোধন দেখা যেতে পারে।
তাঁর অনুমান, “যে সমস্ত কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন তারা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা হিসেবে পেতে পারেন। সঙ্গে, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হতে পারে।”
আরও পড়ুন: এই ফোন নম্বরে একটি কল করেই সেরে ফেলতে পারবেন স্টেট ব্যাঙ্কের একাধিক কাজ....
বলিঞ্জকার আরও বলেন, হাউজিং লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ প্রদান এবং মূল পরিশোধ, উভয় ক্ষেত্রেই কর ছাড়ের সুবিধা ৫০,০০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা উচিত। বর্তমানে সুদ প্রদানে ২ লক্ষ টাকা এবং মূলধন পরিশোধে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স মকুব করা হয়।
MSME সেক্টরের ক্ষেত্রে, আত্মনির্ভর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি কাঁচামাল আমদানির জন্য বিকল্প বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যাপিটালভিয়া গ্লোবাল রিসার্চ সংস্থার রিসার্চ প্রধান গৌরব গর্গ বাজেট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ভারতীয় আয়কর আইনের ধারা 80C-এর অধীনে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর ছাড়ের সীমা ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়ানো হতে পারে কারণ গত বছরের বাজেটে এই দিকে কোনও সংস্কার করা হয়নি।
তাঁর বক্তব্য, “গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে ধরে রিয়াল এস্টেট সেক্টর ধুঁকছে। আমি আশা করছি এই সেক্টরকে পুনরায় ট্যাকে আনতে ট্যাক্সে ছাড় প্রদান করার পাশাপাশি কাঁচামালের ওপর জিএসটি কমানো হবে। এছাড়া, করোনায় তৃতীয় ঢেইয়ের কারণে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিকল্পে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হতে পারে।”