আইটিআর (ITR) থেকে মুক্তি:
যদি ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্সকে বিদায় জানানো হয়, তা হলে প্রায় ৬.৩২ লক্ষ মানুষ বার্ষিক ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করার বিষয় থেকে মুক্তি পেতে পারে। ইনকাম ট্যাক্সের জটিল নিয়মের ফলে অনেক রেকর্ড ও ফাইল জমা করতে হয়। এর ফলে আয়কর বিভাগের সেই সকল তথ্য যাচাই করতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- Gold Investment: ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ? এক নজরে দেখে নিন খুঁটিনাটি!
ট্যাক্সের চাপ:
যদি ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্সকে বিদায় জানানো হয়, তা হলে টিডিএসের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন রিটার্ন একত্রিত, যাচাই এবং জমা করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। বর্তমানে ইউএই, কাতার, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব, বারমুডা, ব্রুনেই ইত্যাদির মতো অনেক দেশেই ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না। সেখানে সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করা হয়।
বেতনভুক কর্মচারীদের উপরে চাপ:
ভারতে আয়কর সংক্রান্ত চাপ মধ্যবিত্ত বর্গের বেতনভোগী কর্মীদের কাছে বিশাল বড় ব্যাপার। ধনী ব্যক্তিদের আয়ের বেশির ভাগটাই বেতন থেকে নয়, তাঁদের লভ্যাংশ থেকে আসে। ভারতে এমন ৮,৬০০ মানুষ রয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ৫ কোটি টাকা। ৪২,৮০০ মানুষের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি, ৪ লক্ষ মানুষের বার্ষিক আয় ২০ লক্ষ টাকার বেশি। এর ফলে ভারতের প্রায় ৯৯ শতাংশ করদাতাকে আইটিআর জমা করতে প্রায় বাধ্য করা হয়ে থাকে।
ইনকাম ট্যাক্সের দুর্বলতা:
এই হিসেব দেখিয়ে দিচ্ছে যে, ভারতের ইনকাম ট্যাক্স আদায়ের দুর্বলতা। আর্থিক বর্ষ ২০২০-২১-এ মোট প্রায় ২৪,২৩,০২০ কোটি টাকার ট্যাক্স রেভেনিউ আদায় হয়েছিল। এর মধ্যে ইনকাম ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল ৬,৩৮,০০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ২৬.৩০ শতাংশ। কর্পোরেট ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল ৬,৮১,০০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ২৮ শতাংশ। জিএসটির পরিমাণ ছিল ৬,৯০,৫০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ২৮.৫ শতাংশ। এক্সাইজ ডিউটির পরিমাণ ছিল ২,৬৭,০০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ১১ শতাংশ। কাস্টমসের পরিমাণ ছিল ১,৩৮,০০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৫.৭০ শতাংশ এবং সার্ভিস ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল ১,০২০ কোটি টাকা অর্থাৎ ০.০৪৫ শতাংশ।
ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা:
যদি ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্সকে বিদায় জানানো হয়, তা হলে ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলো জমার প্রায় ৩ শতাংশ নগদ সুরক্ষিত অনুপাত অনুসারে জমা রাখে এবং বাকি ৯৭ শতাংশ ঋণ হিসেবে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে স্ট্যাচুটরি লিক্যুইডিটি রেশিও।
আরও পড়ুন- চাকরি নিয়ে চিন্তায় আছেন ? শুরু করুন এই ব্যবসা প্রতি মাসে আয় করবেন লাখে
আসন্ন বাজেট:
তাই আসন্ন বাজেটে ইনকাম ট্যাক্সকে বিদায় জানিয়ে এক্সপেন্ডিচার ট্যাক্সকে স্বাগত জানানো দরকার। আর এই বিষটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। আসন্ন ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-২৩-তেই এটা করার জন্য সেরা সময়।