২০২০ সাল থেকে সেই ধারা এখনও অব্যাহত। করোনা মহামারী জন্ম দিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের, যার প্রভাব পড়েছে বেতনের ওপরে। এর ফলে আশা করা হচ্ছে আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে চালু করা হতে পারে ওয়ার্ক ফ্রম হোম অ্যালাওয়েন্স। যা বেতনভুক্ত কর্মচারীদের বেতনের ওপরে ট্যাক্স ছাড়ের সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন- জনতার আকাঙক্ষা, বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ, কেমন হওয়া উচিত এবারের বাজেট?
advertisement
ওলকেন সফটওয়ারের (Wolken Software) সিএফও (CFO) দীপক শেনয় (Deepak Shenoy) জানিয়েছেন, আমরা চাই আসন্ন বাজেটে করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে এবং বর্তমানের তৃতীয় ঢেউয়ের ওপরে নজর দিয়ে যারা বাড়িতে বসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে, তাদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম অ্যালাওয়েন্সের ব্যবস্থা করা হোক।
এর মাধ্যমে যারা বাড়িতে বসে কাজ করছে তাদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম অ্যালাওয়েন্স ট্যাক্সের পরিমাণ কমানো দরকার। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে কিছু রিলিফ দেওয়া।
এম৩এম ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (M3M India Private Limited) ডিরেক্টর পঙ্কজ বনসল (Pankaj Bansal) জানিয়েছেন যে, সেকশন ৮০সি (80C) অনুযায়ী হোম লোনের ক্ষেত্রে প্রতি বছরে ট্যাক্স ছাড়ের পরিমাণ ১.৫০ লাখ টাকা করা দরকার।
সেকশন ৮০সি অনুযায়ী অন্যান্য বিনিয়োগ, যেমন পিএফ, পিপিএফ এবং লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রেও ট্যাক্স ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখে এই সকল বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগে ট্যাক্স ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো দরকার আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে।
আরও পড়ুন- আত্মনির্ভর করে তুলুন জীবনসঙ্গীকে, আজই খুলে ফেলুন এই অ্যাকাউন্ট
আসন্ন ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-২৩-এ কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ইনকাম ট্যাক্সের ছাড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া। করোনার প্রভাব এবং করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবের ফলে আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার ইনকাম ট্যাক্সের বিভিন্ন স্ল্যাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
সেকশন ৮০ইই (80EE), ৮০ইইএ (80EEA) এবং ২৪(বি) (24(b)) অনুযায়ী ইনকাম ট্যাক্সের বিভিন্ন স্ল্যাবে কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে আসন্ন ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-এ। এর ফলে ভারতের সকল বেতনভুক্ত কর্মী তাকিয়ে রয়েছে আসন্ন ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-২৩-এর দিকে।
ইনকাম ট্যাক্সের ছাড় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে কয়েকটি নিয়ম পরিবর্তন করলে সুবিধা হবে ভারতের সকল বেতনভুক্ত কর্মীর।