কী থাকবে এই নতুন পাসপোর্টে। থাকবে একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ। সেখানে এমবেড করা থাকবে নিরাপত্তার বিশেষ কয়েকটি ফিচার। সেই চিপেই থাকবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য, ডিজিটাল সিগনেচার ও অন্য ব্যক্তিগত তথ্য। কেউ যদি পাসপোর্টে কোনওরকম বেআইনি কাজ করতে চায়, তাহলে তা চিপ ধরে ফলবে। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য আগে জানিয়েছিলেন এই পাসপোর্টে থাকবে যাত্রীর বায়োমেট্রিক তথ্যও। আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে তৈরি করা হবে।
advertisement
কী ভাবে কাজ করবে এই পাসপোর্ট?
- সাধারণ পাসপোর্টের মতোই কাজ করবে এটি। এটিতে শুধু একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে। সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে।
- পাসপোর্টের পিছন থেকে এই চিপটি থাকবে। ৬৪ কেবি স্টোরেজের ক্ষমতা থাকবে এটির।
- প্রাথমিক ভাবে এই চিপটিতে সর্বোচ্চ ৩০টি আন্তর্জাতিক যাত্রার ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকবে। পরবর্তীতে এটি পাসপোর্টের মালিকের একটি ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্যও সেভ করে রাখতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রশংসা অর্থমন্ত্রীর, ৬০ লক্ষ নতুন নিয়োগের দাবি নির্মলা সীতরমণের
- এটি এক বার কাজ করতে শুরু করলে অভিবাসনের জন্য দীর্ঘ লাইনে আর দাঁড়াতে হবে না। কয়েক মুহূর্তে পাসপোর্ট স্ক্যান করে নিলেই হবে।
- এই নিয়ম চালু হলে জাল পাসপোর্ট তৈরিও অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- টিসিএস-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা এই বিষয়ের প্রযুক্তিগত বিষয়টি তৈরি করবেন, তবে পাসপোর্ট ছাপা ও অনুমতি দেওয়ার মতো কাজ থাকবে সরকারের হাতেই।
- এটি সম্পূর্ণ কাগজ মুক্ত একটি নথি না হলেও এটিতে কাগজের ব্যবহার অনেক কমবে। তবে আগের মতো ভিসায় স্ট্যাম্প দেওয়ার কাজ চলবে।
- এই প্রকারের পাসপোর্ট পৃথিবীর প্রায় ১২০টি দেশের রয়েছে, সে তালিকায় রয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি।