এখন তিনি একা নন। বরং এলাকার অনেক কৃষককেই চন্দন চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। এই চাষের ফসল পেতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘকাল। তবে যখন লাভ পাওয়া যায় তখন কোনও আক্ষেপ থাকে না।
উত্তরপ্রদেশের রামপুরের শাহজাদনগর থানা এলাকার কাকারোয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকেশ কুমার চন্দন চাষ করে কোটিপতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি চাষেরা পাশাপাশি জনসেবা কেন্দ্রও চালান। রাকেশ বলেন, ‘ধান ও গম চাষে খরচ বেশি, আয় কম। তাই আয় বাড়াতে চন্দন চাষ করার সিদ্ধান্ত নিই। এই চাষের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে, প্রশিক্ষণ নিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলাম।’ সেখান থেকেই চন্দনের বীজ নিয়ে আসেন। তারপর নিজের এক একর জমিতে ৫০০টি চন্দন গাছের চারা রোপণ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: যতবার খুশি চড়ুন এই ট্রেনে, লাগবে না টিকিট-এক টাকাও! কোথায় চলে, জানলে অবাক হবেন
সরকারি শর্ত—
তবে রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, চন্দন গাছ বড় হওয়ার পরে কেবল সরকারের কাছেই সেগুলি বিক্রি করতে হবে। চন্দন রফতানির অধিকার শুধু সরকারের রয়েছে। সাদা চন্দন চাষ করার জন্য কৃষক লিখিত অনুমতি নিতে হয় বন দফতরের কাছ থেকে। আগে শ্বেত চন্দন চাষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ সরকার তা প্রত্যাহার করে।
আরও পড়ুন: হুবহু মানুষের দাঁত-ঠোঁট, কী এটা? বিজ্ঞানীদেরও মাথায় হাত! শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন
কম খরচে বেশি লাভ—
রাকেশ জানান, এক একরে ৫০০টি চন্দন গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এজন্য তাঁর খরচ হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা। তবে এর থেকে লাভ অনেক বেশি পাবেন। এক একর জমিতে একটি গাছ জন্মালেও একজন কৃষক লাভ করতে পারেন ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। তবে এই গাছ পূর্ণবয়স্ক হতে সময় নেয় ১০-১২ বছর। একটি গাছ থেকে প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ কেজি শক্ত ফল পাওয়া যায়।
উপযুক্ত পরিবেশ—
সাধারণত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে লাল চন্দন চাষ করা হয়। উত্তরপ্রদেশে সাদা চন্দন চাষ করা যেতে পারে। এ জন্য মাটির pH মান সাড়ে সাত হলেই যথেষ্ট। জল শোষণকারী উর্বর এঁটেল মাটি এবং বার্ষিক ৫০০ থেকে ৬২৫ মিমি বৃষ্টির প্রয়োজন।
পোষক গাছের গুরুত্ব—
চন্দন গাছের সঙ্গে একটি পোষক উদ্ভিদ রোপণ করতে হয়, নাহলে চন্দন গাছটি বিকশিত হতে পারে না। চন্দনের শিকড় পোষক উদ্ভিদ দ্বারাই শক্তিশালী হয়। তবেই তা দ্রুত বিকাশ লাভ করে।