সুনীল ডিসুজা বলেন, “আমরা আমাদের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছাচ্ছি এবং তাঁরা তাঁদের কোম্পানি বিক্রি করতে ইচ্ছুক কি না তা জানতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।“ কিছু কোম্পানির দাম বেশি কিন্তু তাঁদের কিছু অফার দেওয়া হয়েছে যা কোম্পানিগুলিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস ক্রমাগত তার পোর্টফোলিও বাড়িয়ে চলেছে। এর আগে বোতলজাত পানির ব্যবসায় নারিশকো বেভারেজ লিমিটেডের শেয়ার কিনেছিল কোম্পানিটি। পাশাপাশি সোলফুল (Soulfull), একটি টিনজাত খাবারের আইটেমও কিনে নিয়েছিল কোম্পানি। এই তহবিল এবং পানীয় সংস্থাটি ২০২০ সালে টাটা গ্রুপ দ্বারা গঠন করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের জেরার পরই ফের সকালে ডাক, আবার নিজামে পরেশ অধিকারী! কীসের ইঙ্গিত?
সম্প্রতি গ্রুপটি এই কোম্পানির সঙ্গে টাটা কফিকে (Tata Coffee) যুক্ত করেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে, টাটা উপভোক্তা পণ্যগুলি ইউনিলিভার (Unilever) এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (Reliance Industries Limited) মতো বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। তাই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের দিকে নজর দিচ্ছে। রয়টার্সের (Reuters) মতে, মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আগামী ৬ মাসে ৬০টি ছোট এবং বড় ব্র্যান্ডের মুদি ও ভোগ্যপণ্য কেনার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, ডিএ মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ! ৩ মাসেই বকেয়া পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা
সুনীল ডিসুজা বলেছেন যে কোম্পানিটি স্টারবাকসকেও (Starbucks) প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে আরও আউটলেট খোলা হবে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৫০টি নতুন আউটলেট খোলা হয়েছে। এর সঙ্গে ২৬টি শহরে স্টারবাকসের ২৬৮টি আউটলেট রয়েছে। সারা দেশে স্টারবাকসের আউটলেটের সংখ্যা ১০০০-এর বেশি করার পরিকল্পনা করেছে কোম্পানি।
উল্লেখ্য, কালো চায়ের অন্যতম প্রস্ততকারক দেশ শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণের জন্য বিশ্ব বাজারে চায়ের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এই বছর ভারতে চায়ের ফলন ভালো হবে যার ফলে এই পানীয়র দাম কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।