কৃষি বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা-সহ এলাকায় আপেল চাষের জন্য একটি বিশেষ জাত প্রস্তুত করা হয়েছে, নাম হরমন-৯৯। হিমাচলপ্রদেশেও এই জাতের আপেল চাষ হয়। মূলত সেখান থেকেই আনা হচ্ছে এই গাছ। কৃষক অনীশ কুমার বেগুসরাইতে প্রথম এই চাষ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সরকারের এই স্কিমে চড়া সুদে মোটা রিটার্ন পেতে পারেন মহিলারা, টাকাও থাকবে নিরাপদ!
advertisement
উচ্চ তাপমাত্রায় ফলনের জন্যেই বিশেষ জাতের এই আপেল গাছের প্রস্তুত করা হয়েছে। বলে রাখা ভাল, বেগুসরাইতে তাপমাত্রা থাকে ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৪৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। এই অত্যধিক তাপমাত্রার মধ্যেও কৃষকরা সহজেই এই প্রজাতির আপেল চাষ করতে পারেন। উদ্যানপালন দফতর এই ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
বেগুসরাইয়ের কৃষক অনীশের অসাধ্যসাধন: বেগুসরাইতে আপেল চাষের ভাবনা প্রথম মাথায় আসে তরুণ কৃষক অনীশ কুমারের। তিনি বলেন, হিমাচলপ্রদেশের হরমন শর্মা এই ধরনের আপেল চাষের জনক। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবি পাঠিয়ে চারা রোপণের পর উদ্ভূত সমস্যার বিষয়ে পরামর্শ ও প্রতিকারের বিষয়ও তিনি জানান।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপেল গাছে কিছু করার দরকার নেই। বর্ষার পর শীতের মরশুমে বাগানের রক্ষণাবেক্ষণে কিছু খরচ করতে হয় না। কিন্তু গ্রীষ্ম শুরু হলেই এর রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হয়।
প্রথম বছরেই ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয়: কৃষক অনীশ কুমার জানান, তিনি এক একর জমিতে আপেল চাষ করছেন। এই মুহূর্তে রয়েছে ৭০টি গাছ। ২০০ চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এক বছরেই ফল দিতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, একটা গাছ ২৫ বছর ধরে ফল দেয়। তিনি আরও জানান, একটি আপেল গাছ থেকে প্রথম বছরে ৫ থেকে ১০ কেজি ফল পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বছরে ১৫ কেজি। এইভাবে বছরের পর বছর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এভাবে এক একরে একটি আপেল বাগান করে প্রথম বছরেই আয় হয় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। যেখানে প্রতি বছর আয় দ্বিগুণ হচ্ছে। ফলে আপেল চাষ করে মালামাল হচ্ছেন কৃষকরা।
Keywords: Agriculture, Farming, Apple Cultivation
Original Story Link: https://hindi.news18.com/news/bihar/begusarai-this-young-farmer-of-begusarai-has-started-apple-cultivation-5972167.html
Written By: Koushik Bhattacharya