কাশ্মীরের শীতল পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও হাওড়ার গরম আবহাওয়াতে ফলবে আপেল।স্বাদে এবং আকর্ষনীয় রঙে বিখ্যাত কাশ্মীরি আপেল। তবে মানুষের সখের যে শেষ নেই। সখের বসেই সেই কাশ্মীরের বিখ্যাত আপেল বাংলা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছেছে। যদিও সখের বাগান বা ছাদ বাগানে আপেল এর আগে বহু বার দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: LIC-র সুপারহিট স্কিম! ৭৫৭২ টাকা করে বিনিয়োগ করুন, ম্যাচিউরিটিতে পেয়ে যাবেন ৫৪ লক্ষ টাকা
advertisement
তবে এবার সখের বাগানের আপেল হতে পারে মানুষের জীবিকা। কাশ্মীর বা আপেল বিখ্যাত স্থানের মানুষ যেমন আপেল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তেমনি গরম আবহওয়ায় বেশ কয়েকটি প্রজাতির আপেল চাষ করা যেতে পাড়ে। শিক্ষক তাপস বাঙাল এর শখের বাগানে রয়েছে নানা ফল, ফুল ও ভেষজ গাছ।
আম জাম কাঁঠাল লেবু কামরাঙা লিচু সহ নানা ফল ছিলই। সেই বাগানে আপেল গাছে ফলে ধরেছে। তাতে ভীষণ ভাবে আনন্দিত তাপস বাবু, তিনি জানান কয়েক বছর আগে বাগানে আপেল গাছ লাগিয়ে ছিলাম।
এবার গাছ গুলির কয়েকটিতে আপেল ধরেছে। হাওড়ার মাটিতে আপেল যদিও এই প্রথম নয়। তবে অনেক মানুষেরই গাছে আপেল অজানা অদেখা, বাগানে আপেল দেখতে আসছেন অনেকই।শীত প্রধান এলাকা ছাড়াও, গরম ও আদ্রতা যুক্ত আবহাওয়ায় আপেল ফলানো সম্ভব। সখের বাগান ছাড়াও কৃষি জমিতে আপেল চাষ করা যেতে পারে জানালেন তাপস বাবু। গরম আবহাওয়ায় ফলতে পারে যেমন হরিমন ৯৯, আন্না এবং গোল্ডেন রসেট প্রজাতির আপেল।
তিন থেকে চারটি প্রজাতির আপেল সাধারণত গরম আবাওয়ায় চাষ করা যেতে পারে। চাষ করার আগে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে মাটিতে জল না জমে। জমিতে নিকাশি ব্যবস্থা খুব ভালো হওয়া প্রয়োজন আপেল চাষের ক্ষেত্রে। তিনি আরোও বলেন, বেশি আদ্রতা যুক্ত আবহাওয়ায় ফাঙ্গাস ধরার সম্ভবনা বেশি থাকে। সেই দিক খেয়াল রাখতে হবে কৃষককে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর গাছে ফাঙ্গাসাইট প্রয়োগ করতে হবে।
রাকেশ মাইতি