যদিও কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হয়নি ইনটেল কর্পোরেশন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, জুলাই মাস পর্যন্ত কোম্পানিতে কাজ করতেন ১১৩,৭০০ কর্মী। ওই মাসেই কোম্পানি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফলের পূর্বাভাস দেয়। তার পরই বার্ষিক বিক্রয় এবং লাভের পূর্বাভাস কমিয়ে দেয় কোম্পানি। করোনা মহামারীর সময়ে তাদের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির হারের পাশাপাশি অফিস ও স্কুল খোলার কারণে কম্পিউটারের বিক্রি নিম্নমুখী। এ কারণে কোম্পানির বিক্রিও কমেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আধার কার্ডের ১০ বছর হয়ে গেলে এখুনি এই কাজটি করতে হবে,না হলে পড়বেন বড় সমস্যায়
সরবরাহ চেইনে বাধা: কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় বাজার চিন। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধের চাপ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাট গেলসিঞ্জার মঙ্গলবার কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি জারি করেন। সেখানে বিদেশি গ্রাহকদের জন্য অভ্যন্তরীণ ফাউন্ড্রি মডেল এবং কোম্পানির পণ্য লাইনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
ভারত সফরে এসেছেন ইনটেলের সিইও: এ বছরের এপ্রিলেই ভারত সফরে আসেন ইনটেলের সিইও প্যাট গেলসিঞ্জার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। প্যাট্রিক বলেছিলেন, ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা উৎসাহিত। কিন্তু সঙ্গে এও স্পষ্ট করে দেন যে বর্তমানে কোম্পানির ভারতে উৎপাদন করার কোনও পরিকল্পনা নেই। সম্প্রতি, কেন্দ্র সরকার সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লের ঘরোয়া উৎপাদন বাড়াতে ৭৬ হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ভিত্তিক প্রণোদনা প্রকল্প ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: অনেকটাই দাম কমল সোনা ও রুপোর! এখনই কি সোনা কেনার সঠিক সময় ?
প্রসঙ্গত, ২১০৪ সালেও ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিল ইনটেল কর্পোরেশন। সেই সময় বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোম্পানির মোট কর্মীর প্রায় ৫ শতাংশ হ্রাসের কথা জানিয়েছিল তারা। পার্সোনাল কম্পিউটার বিক্রি কমে যাওয়াকেও কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে তুলে ধরেছিল ইনটেল কর্তৃপক্ষ।