আজকাল প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকেন ‘এমবিএ চা-ওয়ালা’, ‘বি.টেক চাওয়ালা’-রা। সম্প্রতি একটি তেমনই এক তরুণী উঠে এসেছেন সংবাদ শিরোনামে। তাঁর পশরায় থাকে ফুচকা। ‘বি.টেক পানিপুরি-ওয়ালি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে এই তরুণীকে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ তাঁর নিজস্ব ফুচকার স্টল এবং তাঁর বিপণন কৌশলই এই মুহূর্তে তাঁকে ভাইরাল করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রোজই কলেজের কাছে এসে দাঁড়ান নন্দলাল, ভিড় জমে যায় চারপাশে!কারণ জানলে চোখ কপালে উঠবে
বি.টেক পড়তে পড়তেই এই ফুচকার দোকান খুলে ফেলেছেন তরুণী। শুধু তাই নয়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে দিল্লিতে ১০টিরও বেশি স্টল দিয়েছেন তিনি। এগুলি থেকে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করতে পারছেন তাপসী।
যেভাবে শুরু হল পথচলা—
দিল্লির বাসিন্দা বছর একুশের তাপসী উপাধ্যায় এই মুহূর্তে জনপ্রিয় ‘বি.টেক পানিপুরি-ওয়ালি’ নামে। পশ্চিম দিল্লির তিলকনগর মেট্রো স্টেশনের কাছে প্রথম ফুচকার দোকান খুলেছিলেন তিনি। সেখানেই লেখা ছিল ‘বি.টেক পানিপুরি-ওয়ালি’। পথ চলতি মানুষের কাছে সেটাই ছিল আকর্ষণ। প্রাথমিক ভাবে এই আকর্ষণ থেকেই শুরু হয় ব্যবসা, জানাচ্ছেন তাপসী।
তবে শুধু নামে নয়, তাপসীর ফুচকার দোকানেও রয়েছে বিশেষত্ব। আসলে একটি মোটরবাইকের সঙ্গেই বাঁধা থাকে তাঁর দোকান। ফুচকা, তেঁতুল জল সবই রাখার জায়গা রয়েছে সেখানে। একুশ বছরের তরুণী যখন বুলেট চালিয়ে আসেন ফুচকার পশরা নিয়ে তখন সকলেই তাকিয়ে দেখেন।
কোথায় গেলে দেখা মিলবে—
নিজের পড়াশোনা সামলেও ফুচকা বিক্রি করে রোজগার করেন তাপসী। ফুচকার পশরা নিয়ে তিনি চলে আসেন বেলা ৩ টের সময়। সারা বিকেল চলে বিকিকিনি। দোকান খোলা থাকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। দিল্লির তিলকনগর মেট্রো স্টেশনের ৪নম্বর গেটের কাছে এই দোকানটি দেখা যায়।
