আরও পড়ুন: ২০২২ সালে সোনাই কি সবচেয়ে বেশি লাভ দেবে? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
মিউচুয়াল ফান্ডের ডেবট ফান্ড ক্যাটাগরির লিকুইড ফান্ড সেই জায়গা। এখানে ব্যাঙ্কের মতো সব সুযোগ সুবিধা তো মিলবেই সঙ্গে পাওয়া যাবে বেশি সুদ। ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে যেমন যে কোনও সময় টাকা রেখে তুলে নেওয়া যায়, এখানেও সেই সুবিধা মেলে। এর জন্য কোনও চার্জ লাগে না। তাছাড়া মিনিমাম ডিপোজিটের ঝামেলাও নেই। এখানে সেরকমই একটি লিকুইড ফান্ডের হদিশ দেওয়া হল।
advertisement
মহিন্দ্রা ম্যানুলাইফ লিকুইড ফান্ড: ২০১৬ সালের ৪ জুলাই এই লিকুইড ফান্ডটি বাজারে আনে মহিন্দ্রা ম্যানুলাইফ। এটা ওপেন এন্ডেড স্মল সাইজড ফান্ড। এর এইউএম ১৬৬৫.৪৪ টাকা। চলতি মাসের ৬ এপ্রিলের ঘোষণা অনুযায়ী এর এনএভি ১৩৮৫.০৫৫ টাকা। এর ব্যায়ের অনুপাত ০.১৪ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এটা ডেবট ফান্ড। তাই ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে। পিয়ার ফান্ডগুলির মধ্যে এর পারফর্মেন্স মাঝারি। তবে ভ্যালু রিসার্চ এই ফান্ডকে ৫ স্টার রেটিং দিয়েছে। কম ঝুঁকিতে বেশি রিটার্ন দেওয়াই এই ফান্ডের লক্ষ্য। এই ফান্ডে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়ে এসআইপি করা যায়। আর এককালীন রাখতে চাইলে কমপক্ষে ১০০০ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: এলআইসির সুপারহিট পলিসি! ২৩৩ জমালেই পাবেন ১৭ লক্ষ সঙ্গে আয়করে বড় ছাড়ও
এককালীন টাকা রাখলে সুদের হার: ১ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৩.৫৩ শতাংশ এবং মোট ৩.৫৩ শতাংশ, ২ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৩.৬৩ শতাংশ এবং মোট ৭.৩৯ শতাংশ, ৩ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৪.৫২ শতাংশ এবং মোট ১৪.২১ শতাংশ এবং ৫ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৫.৮২ শতাংশ এবং মোট ৩৮.৪৮ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে।
এসআইপি-তে সুদের হার: ১ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৩.৬১ শতাংশ এবং মোট ১.৯৪ শতাংশ, ২ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৩.৫৩ শতাংশ এবং মোট ৩.৭০ শতাংশ, ৩ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৩.৮৭ শতাংশ এবং মোট ৬.০৯ শতাংশ এবং ৫ বছর মেয়াদে বার্ষিক ৪.৮২ শতাংশ এবং মোট ১২.৯৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: আপনি কি ‘ডু ইট ইওরসেলফ’ বিনিয়োগকারী? নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন...
এই ফান্ডে ঋণ বিনিয়োগ ৬৫.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ১২.২৫ শতাংশ সরকারি সিকিউরিটিজে এবং ৫২.৯৩ শতাংশ অত্যন্ত কম ঝুঁকিপূর্ণ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফান্ডের ক্রেডিট প্রোফাইল মাঝারি। অর্থাৎ উচ্চমানের ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। ফলে অন্যান্য ফান্ডের তুলনায় এই ফান্ডে ঝুঁকি অত্যন্ত কম। এই ফান্ডের শীর্ষ হোল্ডিংগুলির মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, বাজাজ হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড, মতিলাল অসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ভারত সরকার এবং স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড।