ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গিয়েছে ৯ লক্ষ টাকা। আর তারপরই নড়ে বসেছে প্রশাসন। অথচ, এই ক্ষেত্রে ফিশিং বা অন্য কোনও কৌশল ব্যবহার করেনি প্রতারক। বরং সমস্যা ছিল অন্যত্র।
আরও পড়ুন: সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করুন চিলড্রেন মিউচুয়াল ফান্ডে, দেখে নিন
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের ওই ব্যবসায়ী সম্প্রতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গোলমাল লক্ষ্য করেন। দেখা যায় তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে উধাও হয়ে গিয়েছে ৯ লক্ষ টাকা। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে সিটি থানার পুলিশ আরও অবাক। কোনও রকম ফিশিং ছাড়াই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াত।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ব্যবসায়ী অনিল আগরওয়ালের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরটি রেজিস্টার্ড ছিল, সেটির ব্যবহার বেশ কিছুদিন আগে বন্ধ করে দেন তিনি। ফলে তা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই নম্বর সরিয়ে ফেলেননি।
প্রায় ৬ মাস পর ওই সার্ভিল প্রোভাইডারের তরফে ওই মোবাইল নম্বর অন্য এক গ্রাহককে দিয়ে দেওয়া হয়। এমনটাই নিয়ম। কিন্তু ঘটনা হল, ওই ফোন নম্বরেই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক থেকে যাবতীয় বার্তা এবং ওটিপি যাচ্ছিল। যে ব্যক্তি ওই নম্বর হাতে পেয়েছিলেন, তিনি খুব চাতুর্যের সঙ্গে জেনে ফেলেছিলেন ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, ইত্যাদি। ফলে তিনি একাধিক পেট্রোল পাম্প ও অন্য আকাউন্টে টাকা সরাতে শুরু করেন। ধাপে ধাপে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৯ লক্ষ টাকা।
এবিষয়ে ইনস্পেক্টর মনোজ কুমার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই মহিলার ফোন নম্বর অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর গিরিডির এক ব্যক্তিকে সেই নম্বর দেয় মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার। এদিকে ব্যাঙ্ক যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গিরিডির হর্ষিত পেট্রোল পাম্পের অ্যাকাউন্টে এক লাখ, অন্য একটি দোকানের অ্যাকাউন্টে এক লাখ এবং মণীশ কুইক পেট্রোলিয়ামের অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকা জমা হয়েছে। বাকি অর্থ পটনা ও কলকাতার দু’টি করে অ্যাকাউন্টে এবং ফরিদাবাদের একটি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। ওটিপি-র মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা তোলা হয়েছে।
বিষয়টির তদন্ত করতে গিরিডি পৌঁছেছে পুলিশ।