লকডাউনের কয়েকসপ্তাহে বেকারত্বের আঁচ বুঝতে না পারলেও লকডাউন বাড়তে থাকায় তাঁদের নিজের নিজের অফিস থেকে বাদ পড়েন দুই ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু। বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় কাজের ঘাটতি, বেকারত্বের চিন্তায় না থেকে দুই বন্ধু বেছে নয় ব্যবসাকে। মহারাষ্ট্রের ওই দুই বন্ধু বিখ্যাত সফল ব্যবসার ওপর বই পড়া শুরু করতেই নিজেদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ইডির বিশেষ আদালতে অর্পিতা, কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মহিলা লক-আপ-এ, কিছুক্ষণের মধ্যেই শুনানি
ওই সময় একটি স্থানীয় সংস্থা দ্বারা পরিচালিত মিট এবং পোল্ট্রি প্রসেসিংয়ের ওপর ভোকেশনাল ট্রেনিং চলছিল। ওই দুই বন্ধু মিট প্রসেসিংয়ের অত্যন্ত অসংগঠিত বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজে লেগে পড়েন। যাতে মাংসের বাজারে চাহিদা অনুযায়ী খুচরা ভোক্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় মাংসের জোগান দেওয়া যায়।
এই ধারণাটি আপাতদৃষ্টিতে অনেকের চোখেই অদ্ভুত ঠেকলেও তাঁরা দৃঢ়চেতা ছিলেন। এমনকি প্রথমদিকে তাঁরা পরিবারের তরফেও কোনও সমর্থন পাননি। আদিত্য কীর্তনে পিটিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ‘আমাদের পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন আমরা এতদূর পড়াশোনা করে যে কাজ করছি তাতে কেউই আমাদের বিয়ে করবে না।‘ ওই দুই বন্ধু প্রাথমিক ভাবে ২৫,০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। মাত্র ১০০ বর্গফুট জায়গা থেকে শুরু হয় তাঁদের নতুন জীবন, তার পর বছর না ঘুরতেই লাভের অঙ্ক মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লক্ষেরও বেশি টাকায়। বর্তমানে অন্য আরেকটি শহরেও এখন তাঁরা ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পার্থর অবস্থা গুরুতর নয়, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিন ভুবনেশ্বর এইমস
ফ্যাবি কর্পোরেশন সম্প্রতি ১০ কোটি টাকাতে তাঁদের Apetitee কোম্পানির বড় অংশের শেয়ার কিনে নিয়েছে। তবে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা কীর্তনে এবং মাস্কে এখনও কোম্পানির সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা আপাতত ল্ভ্যাগশের ৪০ শতাংশ নিয়ে কাজ করছেন। ফ্যাবির ডিরেক্টর জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে Apetitee-র চুক্তির পর ব্র্যান্ডের নাম পূর্বের মতোই অব্যাহত থাকবে এবং তাঁরা প্রি-ম্যারিনেটেড প্রোডাক্টের নতুন নতুন পণ্য আমদানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বর্তমানে তাঁরা আরও নতুন নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন।
এর মধ্যে ভোক্তাদের অর্ডার দেওয়ার জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করারও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। আগামী তিন বছরে ১০০টি দোকানকে পুনরায় চালু করা বা ভোক্তাদের দোরগোড়ায় সুবিধে পৌঁছে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। এতে ২,৫০০টি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাকরিও তৈরি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠান।